মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে একটি সেল গঠনের ভাবনার কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক সেমিনারে এই ভাবনার কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা হচ্ছে। যেহেতু ৫২ বছর আগের ঘটনা, সেটার সঠিক ডকুমেন্টেশন করা কঠিন। আমাদের পক্ষে ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টেশন নিয়ে কাজ করার সুযোগও কম।
“মুক্তিযোদ্ধা যারা বেঁচে আছেন তাদের সঙ্গে হয়ত কথা বলে কিছু ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টেশন করা সম্ভব। তবে খুব বেশি করা সম্ভব না। প্রয়োজনে সেল গঠন করে একাত্তরের স্বীকৃতি পেতে কাজ করা হবে।”
‘বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে জেনোসাইড: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে জোট গঠন করে বিএনপি তাদেরকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত না করলে বাংলাদেশে চালানো গণহত্যা অনেক আগেই স্বীকৃতি পেত।
রুয়ান্ডা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও আরও দেশগুলোর গণহত্যা স্বীকৃতি পেয়েছে। সে দেশগুলোতে আমাদের মতো ৩০ লাখ নয়, তিন থেকে চার লাখ মানুষ মারা গেছে।
মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার প্রবণতা, গণহত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে আড়াল করার প্রবণতা না থাকলেও বাংলাদেশে চলা গণহত্যা আগেই স্বীকৃতি পেত বলেও মন্তব্য করেন হাছান।
ডিক্যাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপুর সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনও সেমিনারে বক্তব্য দেন।