তাদের বিরুদ্ধে গত ১৪ মে মামলা হয়।
Published : 20 May 2024, 09:45 PM
নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণের মামলায় বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী সুমাইয়া আক্তারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আক্তারুজ্জামান।
একদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
জুজুৎসুর এক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয় নিউটনের বিরুদ্ধে। এ থানার এসআই শাকিল জোয়ার্দার মামলাটি তদন্ত করছেন।
মামলার তিন দিন পর ৬৫ বছর বয়সী নিউটন ও তার সহযোগী সুমাইয়াকে ঢাকার মিরপুর ও শাহআলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরে কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, খেলোয়াড়দের ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং বিদেশ ভ্রমণের কথা বলে তাদের ধর্ষণ করে আসছিলেন নিউটন।
র্যাবের ভাষ্য, ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিউটন একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করেন সুমাইয়া। পরে নারী-শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন এক ভুক্তভোগী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী দুই বছর ধরে নিউটনের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছিলেন। অনুশীলনের সময় তাকে বিভ্ন্নিভাবে শারীরিক হেনস্তা করা হয়। অনুশীলন শেষে পোশাক পরিবর্তন করতে গেলে গ্রেপ্তার সুমাইয়া তাকে আটকে রেখে নিউটনকে ডেকে আনেন। সেখানে ওই খেলোয়াড়কে ধর্ষণ করেন নিউটন।
এছাড়া ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি ধারণ করে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে বাদীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে বলা হয়।