“ডিজিটাল সেবা বাড়ার পাশাপাশি সাইবার জগতে ঝুঁকিও বাড়ছে,” বলেন পলক।
Published : 13 Feb 2024, 10:34 AM
উদ্বেগ আর সমালোচনার মধ্যেই সংসদে তোলা হল ‘সাইবার নিরাপত্তা বিল, ২০২৩’।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মঙ্গলবার বিলটি অধিবেশনে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পাঁচ দিনের সময় দিয়ে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি উত্থাপনের শুরুতেই জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, “মানুষের মৌলিক অধিকার, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মত প্রকাশ, চিন্তার স্বাধীনতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধের উপাদান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছিল, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়াতেও আছে। অনেকেই এ খসড়া আইনকে নিবর্তনমূলক, কালো আইন বলে মনে করছেন।
এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল সেবা বাড়ার পাশাপাশি সাইবার জগতে ঝুঁকিও বাড়ছে। সাইবার অপরাধগুলো এত বেশি মারাত্মক, এতবেশি জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, অর্থ ও উপাত্ত সুরক্ষণের জন্য এটা এত বেশি প্রয়োজন, যার ফলে ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়।”
তিনি বলেন, “বর্তমান প্রয়োজন, সময়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার পরামর্শে, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা, আইনমন্ত্রী সময়ে সময়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের সংবাদ মাধ্যম, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার সংস্থা, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সাইবার সিকিউরিটি আইনটি উত্থাপন করেছি আমরা।”
পাঁচ বছর আগে সংসদে পাস হওয়া বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন করছে সরকার। অগাস্টের প্রথম দিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সে সময় আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নাম বদলের সঙ্গে আইনের অনেকগুলো ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যেগুলো অজামিনযোগ্য ছিল সেখানে জামিন যোগ্য করা হয়েছে। মাত্র চারটি ধারা শুধু অজামিন যোগ্য হিসাবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ আইনকে ‘উদার ও ভবিষ্যতমুখী’ হিসেবে বর্ণনা করে বিরোধী দলের সমর্থন চান প্রতিমন্ত্রী।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)