প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে না আনাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন এনবিআরের কর্মচারীরা।
Published : 07 Aug 2024, 04:12 PM
গণবিক্ষোভে সরকার পতনের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও (এনবিআর) বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিক্ষুব্ধরা বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ‘সুবিধাবাদী কর্মকর্তাদের’ বরখাস্তের দাবি তুলেছেন।
সামনের দিনে প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে না আনাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন এনবিআরের কর্মচারীরা।
বুধবার এনবিআর চেয়ারম্যানের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেন কর্মীরা। সেখানে বোর্ডের সদস্য পর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর অনুবিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুল্কের প্রথম সচিব মো. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, “সে (এনবিআর চেয়ারম্যান) এতদিন ডিভাইড অ্যান্ড রুল করে চালিয়েছে।"
তিনি বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান তার কিছু কাছের মানুষকে প্রশাসন থেকে এনে প্রথম সচিব ও দ্বিতীয় সচিব বানিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিতে যাওয়া নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে চেয়ারম্যান বিগত সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
এসময় অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একই মত প্রকাশ করেন এবং এনবিআর চেয়ারম্যানের ছবি সম্বলিত পোস্টার পুড়িয়ে ফেলেন।
এতে লেখা ছিল, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানকারী স্বৈরাচার
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম’।
এদিকে বুধবার এক সংবাদ বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতির কাছে চেয়ারম্যানের বরখাস্তসহ ৯টি দাবি তুলে ধরেন এনবিআর কর্মচারীরা।
দাবিগুলো হলো-
> প্রশাসন ক্যাডার থেকে কোনো কর্মকর্তাকে প্রেষণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পদায়ন করা যাবে না।
> স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে অবিলম্বে পদ থেকে বরখাস্ত করে আয়কর/কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে।
> অবিলম্বে স্বৈরাচারী চেয়ারম্যানের দোসর এবং প্রিয়পাত্র প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে কর ক্যাডারের কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে।
> দুই বছর পর পর বদলি বাণিজ্য বন্ধ করে আয়কর আইন-২০২৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আয়কর আদায়ের স্বার্থে অতীতের মতো রাজস্ব বান্ধব এবং প্রযোজ্যতা সাপেক্ষে বদলি করতে হবে।
> অবৈধ নিয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
> সব পদায়ন কর্মচারীদের জন্য প্রণীত জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ও আইন অনুযায়ী করতে হবে।
> আয়কর অনুবিভাগের ১০তম-২০তম গ্রেডের সব শূন্য পদে পদোন্নতি দিতে হবে এবং সব পদ পদোন্নতিযোগ্য হতে হবে, কোনো পদ ব্লক রাখা যাবে না।
> কর্মচারীদের নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মচারীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সিদ্বান্ত গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় কোনো সিদ্ধান্ত মানা হবে না।
> সর্বশেষে আয়কর অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের সিদ্ধান্ত শুধু আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা নেবে।