জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীকে নিয়ে ফেইসবুকে ‘মিথ্যা পোস্ট’ দেওয়ার মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিনকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত সোমবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি ধারায় এ রায় ঘোষণা করে আদালত। এর মধ্যে ২৫ (২) ধারায় সাইফ আমিনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আর একই আইনের ২৯ (২) ধারায় তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর আইনজীবী মোহাম্মদ হায়দার তানভীরুজ্জামান জানান, দুই ধারার সাজা পৃথকভাবে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।
দণ্ডিত সাইফুল এক সময় চট্টগ্রামের হালিশহর থানা, চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানাসহ বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে পাঁচ বছরে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন।
ওই ঘটনায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
মামলায় বলা হয়, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ ওই অভিযোগের কারণে বাদী সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আদালতের নির্দেশ তদন্ত করে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পরিদর্শক সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
মামলায় বাদী সামশুল হক চৌধুরীসহ ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক সোমবার আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।