চুক্তির আওতায় ইউএন উইমেনকে ৪৮ লাখ ইউরো অনুদান দেবে ইইউ।
Published : 21 Jan 2025, 11:06 PM
বাংলাদেশে পাবলিক স্পেস, কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন ও জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে একটি অংশীদারত্ব চুক্তি সই করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএন উইমেন’।
মঙ্গলবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দপ্তরে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় ইউএন উইমেনকে ৪৮ লাখ ইউরো অনুদান দেবে ইইউ।
দুই সংস্থার যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রকল্পটি নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় কর্মপরিকল্পনার (২০১৮-২০৩০) লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে একটি সহিংসতামুক্ত সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
“এটি জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং মোকাবিলার কৌশলগুলোকে একীভূত করবে। প্রকল্পটি বিশেষত পাবলিক স্পেস, কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি এবং যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করবে।”
এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে ইউএন উইমেন বাংলাদেশ সরকারকে তার আন্তর্জাতিক জেন্ডার সমতা এবং মানবাধিকারের মানদণ্ডের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ এর সুপারিশমালা, নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের কনভেনশন (সিডও) এবং নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এর বিষয় রয়েছে এসব প্রতিশ্রুতির মধ্যে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, “জেন্ডার সমতা উন্নয়ন এবং নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা দূর করার ক্ষেত্রে প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য ইইউ-এর প্রতিশ্রুতির একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই উদ্যোগ।
“এটি এমন একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে নারী ও মেয়েরা হয়রানি বা বৈষম্যের ভয় ছাড়াই উন্নতি করতে পারবে। ইউএন উইমেনের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে এবং বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য প্রত্যাশা পূরণে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে পেরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গর্বিত।”
সমর্থন ও কৌশলগত অংশীদারত্বের জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউএন উইমেনের প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং বলেন, "এ বছর নারী বিষয়ক চতুর্থ বিশ্ব সম্মেলন এবং বেইজিং ঘোষণা ও প্ল্যাটফর্ম গ্রহণের ৩০তম বার্ষিকী, যা নারী অধিকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
“নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, বৈষম্যমূলক নিয়মকানুন মোকাবেলা এবং সুশীল সমাজে বিনিয়োগের মাধ্যমে, বাংলাদেশে জেন্ডার সমতাকে বাস্তবে পরিণত করায়- ইউএন উইমেনের কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে ইইউর এই সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”