ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
Published : 07 Feb 2024, 09:29 AM
ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে স্যালাইনের যে সঙ্কট আছে, শিগগিরই তা কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে স্যালাইনের সঙ্কট নেই। সরকার ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করছে।
“বাইরে কিছুটা সমস্যা আছে এজন্য আমরা ইমপোর্ট করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। আমরাও ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন আনছি, সেটা চলে আসবে শিগগিরই।”
ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে রক্তনালীতে ইনজেক্টেবল স্যালাইন দেওয়া হয়।
কিন্তু ডেঙ্গুর ভরা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইভি স্যালাইন সঙ্কটের খবর আসছে। অনেক ফার্মেসিতে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না, পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
এ বছর দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে দেড় লাখ ছাড়িয়েছে, তাদের মধ্যে ৭৪১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মশাবাহিত এ রোগ। আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে হলে মশা কমাতে হবে। আর মশা মারা যাদের কাজ, তাদের সেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, “শুধু ঢাকা শহর নয় সারাদেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে। হাসপাতালে প্রচুর রোগী আসছে, প্রতিদিন ৩ হাজারের মতো রোগী আমরা পাচ্ছি।
“মশার কামড় যদি না কমে, তাহলে ডেঙ্গু রোগী কমবে না। মশা কমে নাই, বেড়েছে। মশার কামড়ও বেড়েছে। সেই কারণে ডেঙ্গু রোগী আমরা বেশি পাচ্ছি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে মূল সমস্যা, সেখানে সমাধান করতে হবে। মশা মারার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ তার কাজ ‘ঠিকভাবেই’ করছে।
“যেখানে মশা বাড়ছে সেখানে মশা নিধনের ব্যবস্থা নিতে হবে। যেটা যার দায়িত্ব তার সেটা করতে হবে। কিন্তু আমরা ওই দায়িত্ব নিতে দেখি না। আমাদের দায়িত্ব হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া, সেটা আমরা ঠিকভাবেই দিচ্ছি। হাসপাতালে আজ পর্যন্ত বেডের কমতি হয়নি, চিকিৎসারও কোনো কমতি নাই।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)