অবরোধের মধ্যে রাজধানীর মগবাজারে একটি রিকশায় বাসের ধাক্কার ঘটনায় আহত পথচারীও হাসপাতালে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫৫ বছর বয়সী শাহজালাল মন্টু মারা যান বলে রমনা থানার এসআই সাইদুল হক জানান। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হল।
মগবাজারের ওয়্যারলেস গেইট এলাকায় সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে একটি রিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় মনজিল পরিবহনের একটি নিয়ন্ত্রণহারা বাস। বাসের ধাক্কায় রিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে সড়ক বিভাজকে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক বাস ফেলে পালিয়ে যান।
ওই ঘটনায় রিকশার আরোহী আয়নাল হাওলাদার (৪৫) নিহত হন; তার আহত স্ত্রী সেলিনা বেগমকে (৩৫) মগবাজারের কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আর দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পথচারী মন্টুকে ভার্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার ভোরে সেখানেই মারা যান তিনি।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার নফরউদ্দিন মুন্সিডাঙ্গী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মন্টু থাকতেন ঢাকার কাকরাইল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের পাশে। কাগজের কার্টনের ব্যবসা করতেন তিনি।
মন্টুর বন্ধু কাজী আলী আকবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার আসরের নামাজের পর থেকে মন্টুর মোবাইল বন্ধ পেয়ে তাকে খুঁজতে বের হই আমরা। পরে জানতে পারি তার অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে।“
এসআই সাইদুল হক জানান, মন্টুর পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে নিহত আয়নাল হাওলাদারের বাড়ি ঢাকার দোহার উপজেলার মধুরচড় গ্রামে, তার বাবার নাম হাশেম হাওলাদার। আয়নাল খিলগাঁও সি ব্লক এলাকায় থাকতেন।
সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আয়নালের লাশ শনাক্ত করেন তার ভাই শাহজাহান হাওলাদার। তিনি জানান, আয়নাল একটি কোম্পানির বিক্রয়বিভাগে কাজ করতেন। সেদিন স্ত্রীকে নিয়ে মগবাজার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা দুর্ঘটনায় পড়েন।
আরও পড়ুন