গণঅভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় মিশর সরকারের সমর্থনের কথা রাষ্ট্রদূত বলেছেন।
Published : 30 Oct 2024, 08:54 PM
আসছে ডিসেম্বরে কায়রোতে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
দেশটির রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি বুধবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে গিয়ে তার কাছে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন বলে সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ার সরকারপ্রধান ইতোমধ্যে সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।
১৬ থেকে ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইডলাইন বৈঠকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের কীভাবে সমর্থন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে।
জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় মিশর সরকারের সমর্থনের কথাও রাষ্ট্রদূত বলেন।
ইউনূস এই সমর্থনকে স্বাগত জানান এবং মিশর ও বাংলাদেশ ওআইসি, ডি-৮-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে হাতে হাত রেখে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মিশরে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টিও ‘গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার’ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলও ডি-৮ সম্মেলন উপলক্ষে মিশর সফর করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ফাহমি।
তিনি বলেন, মিশর তৈরি পোশাক ও ওষুধখাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে চায় এবং পাট চাষ শিখতে চায়। পাশাপাশি দুই দেশের কৃষি, বস্ত্র ও ওষুধের ক্ষেত্রে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি এমন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের কাজ ত্বরান্বিত করার পক্ষে মত দেন।
বৈঠকে ২০৩১-৩২ অর্থবছরের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী আসনে বাংলাদেশের প্রার্থিতার প্রতি মিশরের সমর্থন নিশ্চিত করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত। তিনি ইউনেস্কোর মহাপরিচালক পদে কায়রোর প্রার্থিতার জন্য ঢাকার সমর্থন চান।
বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন নতুন করে শুরু করার ওপর জোর দেন মিশরের রাষ্ট্রদূত। দুই দেশের মধ্যে প্রথম ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) হয় ২০১৮ সালে। দ্বিতীয় এফওসি ২০২১ সালে হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি।