পঞ্জিকার পাতায় এখন হেমন্ত, বাতাস বলছে, শীত আসি আসি; এরমধ্যেই মৌসুমি লঘুচাপের প্রভাবে আগামী সপ্তাহে হালকা বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
নভেম্বরের দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে; এর একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ের রূপও পেতে পারে।
সবশেষ গেল ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হান। তাতে গাছপালা-ঘরবাড়ির ক্ষত হয় বেশ, প্রাণ যায় অন্তত চারজনের।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে যেমন গরমের প্রবণতা ছিল, তেমনই ভারি বর্ষণও হয়েছে অক্টোবরে। ১০-১৩ অক্টোবর এবং ১৮ অক্টোবর খুলনা, সীতাকুণ্ড ও কক্সবাজারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ৫ অক্টোবর ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।
দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, নভেম্বরে দেশের উত্তর, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও নদ নদী অববাহিকতায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে। তবে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে।
শুক্রবার সীতাকুণ্ডে দেশের সর্বোচ্চ ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়।
হেমন্তের এ সময়ে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করলেও মৌসুমি লঘুচাপের প্রভাবে আগামী সপ্তাহে দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টির আভাস রয়েছে। তখন দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তাতে হিম হিম ভাব বিরাজ করবে রাতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি স্বাভাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ সময় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার কক্সবাজার অঞ্চলের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। রোববার হালকা বৃষ্টি হতে পারে খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায়।
পরবরতী পাঁচ দিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
পুরনো খবর: