রকিবের সৃষ্টিকর্ম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সত্যের দ্বার খুলে দেয়

তকির হোসেনতকির হোসেন
Published : 13 July 2022, 05:09 PM
Updated : 13 July 2022, 05:09 PM


আলোচিত চিত্রশিল্পী কাজী রকিবের চিত্রকর্মগুলো আমাকে এমনভাবে নাড়া দেয় যেভাবে ধাবমান সত্য ও সত্যের উদঘাটন প্রক্রিয়া এবং সেই সাথে শক্তির প্রগাঢ় চেতনাকে নাড়া দেয়। তিনি প্রকৃতির রোমান্টিকতা, আকাঙ্ক্ষার গভীরতা ও সামাজিত অস্থিরতাকে রূপকের মাধ্যমে উপস্থাপনের চেষ্টা নেন এবং সেই সাথে প্রাচীন উপকথার উপাদানসমূহ ক্যানভাবে ফুটিয়ে তোলেন বর্ণচ্ছটার এক অপূর্ব খেলার মধ্যে দিয়ে।

এরপর তিনি বিমূর্ত গঠনগুলোকে ছোট করে আনেন যাতে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলা যায়। একজন নিবিড় পর্যবেক্ষক হিসেবে রকিব খুবই সচেতনতার সাথে দেশের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেন। ক্যানভাসে তার বস্তু ও ব্যক্তির আকৃতিগত পরিবর্তন, নিরব কিছু গঠনের বিক্ষিপ্ত উপস্থাপন এবং সচেতনভাবে ব্রাশের ব্যবহার এমন একটি শৈল্পিক ভাষা সৃষ্টি করে যা একইসাথে স্বতঃস্ফূর্ত ও পরিকল্পিত। আঁকার সময় তার প্যালেট মনে হয় যেন দুটি বিপরীতমুখী বৈশিষ্ট্য – কোমলতা ও দৃঢ় ঘনত্বের – মধ্যে বারংবার দিকপরিবর্তন করে। একইভাবে ক্যানভাসে তার ব্রাশের আঘাতগুলোও যেন বিশৃঙ্খলতা ও নিয়ন্ত্রণের বিপরীতমুখী প্রয়োগের মধ্যে দিকপরিবর্তন করতে থাকে যার ফলে পরিশেষে দেখা যায় আনন্দ ও উচ্ছলতায় পূর্ণ একটি খেলাধুলার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। তার চিত্রকর্মগুলো অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় বিষয়গুলোকে ধারন করে। এগুলো এমন একটি অনুভূতি জাগ্রত করে যা ভাষায় প্রকাশ করা শুধু কঠিনই নয় বরং অসম্ভবই বলা যায়। রকিবের এই গুণই তাকে বাংলাদেশের চিত্রকর্মীদের মধ্যে একজন অন্যতম বৈচিত্রময় শিল্পী বানিয়েছে। বর্তমানে তার চিত্রকর্ম প্রকাশের ভাষা হল – বাস্তববাদী, আংশিক বাস্তববাদী, নির্ভেজাল বিমূর্ততা ও বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদ। তিনি প্রায়শই তার চিত্রকর্মগুলোতে অঙ্কিত গঠনগুলো এবং অন্যান্য উপাদানসমূহের সাজানোর ধরনকে এবং সর্বোপরি চিত্রকর্মগুলোর গঠনপ্রণালী পরিবর্তন করেন। তার চিত্রকর্মগুলোতে সাধারণত এক্রাইলিক, চারকোল, কলম, ব্রাশ এবং ওয়াটারকালার ব্যবহৃত হয়।


কাজী রকিব কাঁচের মধ্যে সৃজনশীলতার প্রয়োগ করার জন্য পরিচিত। আমাদের দেশে সম্ভবত তিনিই চিত্রকর্মে কাঁচকে একটি মাধ্যম হিসেবে পরিচিত করিয়েছেন এবং জনপ্রিয় করে তুলেছেন। তিনি অত্যন্ত যত্নশীলতা ও কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে বহু চিত্রকর্ম কাঁচে ফুটিয়ে তুলেছেন যেগুলোতে সুস্পষ্ট গঠনবিশিষ্ট ও গঠনবিহীন মোটিফ, চেহারাসমূহ, পত্রপল্লব, মৎস্যপ্রণালী, সবুজ প্রকৃতির আবরণ, নুড়ি-পাথর এবং পানির নিচের দুনিয়া গুরুত্ব পেয়েছে।

রকিব ঢাকা আর্ট কলেজে ভর্তি হন ১৯৭২ সালে, যখন বাংলাদেশ সবেমাত্র স্বাধীনতা লাভ করেছে এক দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। সেই সময় এই দেশটি বেশ কিছু ভয়াবহ জটিলতার সম্মুখীন হয় এবং অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যায় – এবং সেই সময়ই আমাদের দেশের চিত্রকলা ও সাহিত্যকর্ম কিছু নতুন ভাবনা ও মর্মবাণী নিয়ে এগিয়ে যায়। রাকিব তখন খুবই কাছ থেকে দেশের পরিবর্তনশীল সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাসমূহকে এবং সমকালীন আলোচিত বিষয়গুলোকে পর্যবেক্ষণ করে।

সেই সময় রাকিব ঢাকা পেইন্টার্স সংগঠনের (১৯৭৪-৭৭, বর্তমানে বিলুপ্ত) একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ভূমিকা রাখেন। এটি ছিল তখনকার তরুণ চিত্রশিল্পীদের একটি ছোট দল যার সদস্যদের চিত্রকর্ম ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুষ্টিয়ায় প্রদর্শিত হয় এবং বিশেষ সুনাম অর্জন করে। এই চিত্রশিল্পীদের পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তাদের চিত্রকর্মের ভাষাগুলো ছিল – পরাবাস্তবতা ও দাদাবাদ। সেই সময় তারা দেশের চিত্রকর্ম চর্চায় একটি নতুন পন্থার সূচনা করে যা তাৎক্ষণিকভাবে চিত্রশিল্পী সমাজে প্রশংসিত হয়। এই ছোট দলটি তখনকার আলোচিত "পেইন্টার্স গ্রুপ" দলটির সদস্যদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। পেইন্টার্স গ্রুপ দলের সদস্য ছিলেন চন্দ্র শেখর দে, হাসি চক্রবর্তী, আলোক রয়, বনিজুল হক, মনসুরুল করিম প্রমুখ।


রাকিব রাজশাহী আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষকদের একজন ছিলেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কামাল লোহানীর দিকনির্দেশনায় রাজশাহী আর্ট কলেজ রাজশাহীতে নানাবিধ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়। শিক্ষকতার পাশাপাশি রাকিব কলেজে নিজের চিত্রকর্ম চর্চাকেও বেগবান করেন। তিনি সেখানে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন ও নিজের শৈল্পিক পরিচিতিটাকে গড়ে তোলেন।

কলেজে থাকাকালীন তিনি বহু মানুষের চেহারার প্রতিকৃতি আঁকেন। তাছাড়া আকেঁন বিভিন্ন মেজাজে থাকা মানব ও মানবীকে, সৌন্দর্য্যমন্ডিত এলাকাসমূহ এবং আরো অনেক কিছু। শিক্ষকতার সময়, তিনি শিল্প ও সৌন্দর্য্য বিষয়ে "দৈনিক বার্তা" পত্রিকায় লেখালেখিও করেন। কামাল লোহানী স্বয়ং এই দৈনিকটির সম্পাদক ছিলেন।

বিভিন্ন দশকে তিনি অনেক অঙ্কনভিত্তিক চিত্র রচনা করেন কয়েকটি মাধ্যমে। তিনি কোন বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খু চিত্রায়ন করতে পছন্দ করেন। গভীর বার্তা সম্পন্ন ও সংবেদনশীলতাপূর্ণ বিষয়াবলী উপস্থাপনের জন্য রাকিবের কোন কিছুর ব্যাপকতা ও ভাবার্থ চিত্রায়ণের দক্ষতা বাস্তবেই অনন্য। তার অঙ্কনগুলো পরিশুদ্ধ ও জীবনীশক্তিপূর্ণ এবং দর্শকদেরকে একটি আনন্দের অনুভূতি দিতে সক্ষম। উনার অঙ্কন ও স্কেচগুলোতে সঠিকমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ যে রয়েছে তা স্পষ্ট। এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে তিনি জানেন কোথায় থামতে হবে এবং কখন যথেষ্ট হয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যটির প্রমাণ উনার ক্যানভাসভিত্তিক চিত্রকর্মগুলোতেও পাওয়া যায়।


এটা নির্দিধায় বলা যায় যে, শিল্পী রকিব চিত্রকর্ম সৃষ্টির নানাবিধ উপাদান ও রং নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তিনি কলম, পেন্সিল, জলরং, এক্রাইলিক, প্যাস্টেল রং, ওয়েল প্যাস্টেল, তেলরং, স্ক্রিনপ্রিন্ট, কোলাজ, পোড়ামাটি, কাঠের ব্লক, যেরোগ্রাফি, তামা, ইস্পাত, গ্লাস প্রভৃতি বস্তুর উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। চিত্রশিল্পের প্রতিটি মাধ্যমের সুক্ষ্ণ কৌশলাদি ও প্রয়োগ নিবিড়ভাবে শেখানোর জন্য তিনি বিশেষভাবে দুই জন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ও মুর্তজা বশীরের প্রতি চিরঋণী থাকবেন। তিনি প্রায় প্রতিটি মাধ্যম নিয়ে কাজ করেছেন এগুলোর ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলোর সম্বন্ধে বিশদভাবে জানার জন্য।

রকিব রং নিয়ে যখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন, তখন তিনি তার প্রতিটি আঙ্গিকেই তাকে গবেষণা করেন। তবে তিনি বিশেষত রঙের প্রয়োগ নিয়ে বেশি গবেষণা করেছেন। রঙের পাতলা আস্তরণ তার সৃষ্টিগুলোতে একটি ভিন্ন আবহের সঞ্চালন করে এবং এই কারণেই তার ক্যানভাসগুলোতে তার একটি নিজস্ব শৈল্পিক ঢং চোখে পড়ে। তার শিল্পকর্মগুলো প্রতিটি রঙের নিজস্ব আবহের একটি ধারণা দেয় এবং প্রতিটি রঙের আলাদা আলাদা ভাবার্থ প্রদান করে। এখন পর্যন্ত তিনি চিত্রকর্ম রচনার বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া বের করেছেন, যেগুলো অনেক ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ এবং সেই কারণেই এগুলোর প্রয়োগ করতে গেলে ব্যাপক প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার প্রয়োজন।


তার এক্রাইলিক-ভিত্তিক চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে কয়েকটি সত্য, সৌন্দর্য্য, রোমান্টিকতা ও আধ্যাত্মিকতার প্রতিফলনস্বরূপ। তার এজাতীয় চিত্রকর্মগুলোর সর্বাধিক লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল যে এখানকার প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যে একটি নিবিড় যোগসূত্র থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি চিত্রকর্মেরই নিজস্ব স্বকীয়তা আছে। রকিব ছায়াস্বরূপ আস্তরণের প্রয়োগ নিয়েও কাজ করেছেন এবং এই সব আস্তরণের বিভিন্ন দিক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তিনি বৈচিত্রময় টোন বা মাত্রা নিয়েও কাজ করেছেন। শিল্পী রকিব রং মসৃণভাবে প্রয়োগ করেন যা ক্যানভাসের একই স্থানে ক্রমাগত প্রয়োগের কারণে মোটা এবং কখনও কখনও পাতলা স্তরায়ণের সৃষ্টি করে। এই মসৃণ ও ক্রমাগত রং প্রয়োগ পদ্ধতির মাধ্যমে তিনি একটি বৈচিত্র্যময় সৃষ্টি উপহার দিতে চান। ব্রাশের মসৃণ প্রয়োগ তার চিত্রকর্মগুলোতে একটি স্নিগ্ধময়ী নকশার অবয়ব গড়ে তোলে।

তার কিছু কিছু চিত্রকর্মের সৃষ্টিপ্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ ও শ্রমসাধ্য ছিল এবং ফলস্বরূপ দৃষ্টিনন্দন ছিল। তিনি তার সৃষ্টিগুলোর প্রতিটি ইঞ্চিতেই সুক্ষ্ণভাবে মনোনিবেশ করেন। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করলে এটি খেয়াল করা যায় যে তার সৃষ্টিগুলোতে ব্যবহৃত রেখাগুলো (সরলরেখা ও ক্ষুদ্র বক্ররেখাসমূহ) নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মনে হয় যেন একটি সঙ্গীতময় খেলা যেখানে রেখাসমূহ পরস্পরের সাথে মিশে গেছে এবং একটি বিচিত্রদৃকের সন্নিবেশ ঘটিয়েছে। তাছাড়া তিনি স্বচ্ছতার বিভিন্ন আবয়ব ও রূপকের আবতারণার মাধ্যমে একটি অঙ্কনভিত্তিক গীতিকথা রচনা করেন যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বৃষ্টির নান্দনিকতার কথা এবং আমাদের আত্মার উপর বর্ষণের প্রভাবের কথা। বহু চিত্রশিল্পীই বৃষ্টিকাল ও বর্ষণ নিয়ে কাজ করেছেন, কিন্তু রকিব তার নিজস্ব একটি ভঙ্গিমা উদ্ভাবন করেছেন যেখানে চিত্রকর্মের বিষয় এবং কৌশলাদি প্রধান ভূমিকা পালন করে।


ক্যানভাসের এই চিত্রপ্রদর্শনীতে কয়েকটি জলরঙভিত্তিক চিত্রকর্ম যোগ করা হয়েছে। তার এই চিত্রকর্মগুলো চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এবং এর জন্য তার নিজস্ব কৌশল ও পানির প্রভাব সৃষ্টির প্রক্রিয়াগুলো প্রশংসার দাবিদার। কিছু কিছু সৃষ্টিকর্ম নিরেট গঠন ও সন্নিবেশনের উপর গুরুত্বারোপ করে। তার কৌশল বিশেষভাবে সমতল ওয়াশ ও রঙের পাতলা আস্তরণের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তিনি প্রকৃতির সরলতা ও চিত্তাকর্ষক দিকগুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। একাকিত্ব ও প্রশান্তি তার জলরঙভিত্তিক চিত্রকর্মগুলোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তার চিত্রকর্মগুলোর বিষয়গুলো/চরিত্রগুলো গম্ভীর ভঙ্গিমায় থাকে এবং তাদের বৈশিষ্ট্যগুলো বিশেষভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। আলো ও উদ্ভাসন তার সৃষ্টিগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং শিল্পী সাধারণত দ্যুতিময় আলো ও রহস্যময়ী পটভূমি ফুটিয়ে তোলা পছন্দ করেন।
তার সাফল্যমন্ডিত শিল্পীজীবনে, রকিব ক্রমাগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তার চিত্রায়ণের ভঙ্গিমাকে সৃষ্টিপ্রক্রিয়ার একটি বহুমুখী বিভাগে উন্নীত করেছেন। বিভিন্ন পদার্থ ও আভা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি প্রায়শই নিয়ন্ত্রিত ও তার স্বতঃস্ফূর্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। তিনি ক্যানভাসের ফাঁকাজায়গাগুলো যথার্থভাবে ফুটিয়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে তার চিত্রকর্মগুলো এবং এদের বিষয়বস্তসমূহকে চাপমুক্ত মনে হয়। বিগত কয়েক বছর যাবত, শিল্পী অনেক উদ্ভাবনী হয়ে উঠেছেন এবং তার ফলস্বরূপ তিনি একদিকে চিত্রকর্মগুলোর ফাঁকা জায়গা ও মূলভাবগুলো এবং অন্যদিকে রেখা ও নানাবিধ আকৃতির মধ্যে একটি মিথষ্ক্রিয়ার প্রবর্তন ঘটিয়েছেন। যার দরুন এই চিত্রকর্মগুলো একইসাথে নিপুণ পদ্ধতির এবং একটি পরিণত বুদ্ধিমত্তার ছাপ বহন করে।