ললিতকলার বিশ্লেষণে নানা মুনির নানা মত

মোস্তফা সারওয়ারমোস্তফা সারওয়ার
Published : 17 Oct 2022, 08:50 AM
Updated : 17 Oct 2022, 08:50 AM

শিল্পের কারুকাজে মেশানো  থাকে শিল্পীদের মনের মাধুরী। চিত্রশিল্পের আরাধনার নিমিত্ত  মনন বিকাশের উচ্চতর মার্গে তাঁদের বিচরণ। বৈচিত্র্যময় জ্ঞান যেমন ললিত কলা, নন্দনতত্ত্ব, সাহিত্য, দর্শন, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ে তাঁদের অন্তর সম্পৃক্ত। বর্তমানে সর্বগ্রাসী পুঁজিবাদী কনজিউমার পৃথিবীর লোভাতুর হাতছানি তাঁদের  প্রলুব্ধ করতে ব্যর্থ হয়।  তাঁরা জেনে শুনে সৌন্দর্যের উপাসনায় তপস্যা ব্রত পালন করছেন। 

যে সৌন্দর্যের আরাধনায়  শিল্পী  সিক্ত করেন  মন মাধুরী - তার মূলে বিরাজিত নন্দনতত্ত্ব। কোন সুন্দরের আরাধনায়  তাঁরা  তপস্যা-ব্রত পালন করছেন? সমালোচনাবিদরা তার কি ধরনের ব্যাখ্যা করে থাকেন? স্বল্প  পরিসরে এই বিষয় গুলো খানিকটা স্পর্শ করবো।

আজ থেকে প্রায় দেড় শত বছর আগে উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে এক তপস্বী সৌন্দর্যের আরাধনায় নিজকে উজাড় করেছিলেন। পৃথিবীর লোভ অথবা বস্তুগত চাওয়া পাওয়া তাঁকে আকর্ষিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আজকে যার আঁকা ছবি কোটি কোটি ডলারেও কেনা যায় না - সেই প্রবাসী ওলন্দাজ মহামানব একদিন ভিনদেশী নগরী প্যারিসের flea market অর্থাৎ ব্যবহৃত সস্তা জিনিষের খোলা বাজার থেকে কিনে এনেছিলেন এক জোড়া ব্যবহৃত (second hand) জুতো। কথিত রয়েছে,  জুতো জোড়া তার পায়ের মাপে ঠিক হয় নি। কষ্টের অর্থে কেনা! আবর্জনার ঝুরিতে ফেলে দেয়া কি বাঞ্ছনীয়? মনে হয় তিনি ব্যবহৃত জুতোর প্রেমেই পড়ে গেলেন। সেকেন্ড হ্যান্ড জুতো জোড়ার সৌন্দর্য উদ্ঘাটন করলেন রঙ তুলির মদির সম্ভারে। শিল্পকলা ইতিহাসবিদদের মত অনুযায়ী বছরটি ছিল ১৮৮৬ সাল। বাংলার চিত্রশিল্পীদের গুরুদেব অবনীন্দ্রনাথের জন্মের প্রায় পনেরো বছর আগে।

কিন্তু প্রশ্ন হোলো - সাধারণ মানুষ, যারা শিল্পকলার চর্চা করেন না, তাঁদের কাছে সেকেন্ড হ্যান্ড অথবা থার্ড হ্যান্ড জুতোর কি সৌন্দর্য হতে পারে? ঐ জুতো যদি হতো মেরেলিন মনরোর মতো কোনো লাস্যময়ী অপ্সরীর, তাহলে ভরা বয়সেও আমার হয়ত মুগ্ধতার প্লাবন আসতো। কিন্তু সেই ওলন্দাজ চিত্রশিল্পী তাঁর মনের মাধুরী মিশিয়ে সেকেন্ড হ্যান্ড জুতোরই আঁকলেন এক অপূর্ব চিত্র। ভেবে দেখুন, আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণ জুতো সহ মেহমানদের ঘরে ডুকতে দেই না। নরাধম রাজনীতিবিদদের  জুতো মেরে মনের ক্ষোভ প্রশমিত করি। এমনকি আমাদের পরম সম্মানিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, পৃথিবীর এক সময়ের মহারাজা, ইরাক বিধ্বংসকারী জর্জ বুশকে এক ক্ষুব্ধ ভদ্রলোক জুতো মেরে মনের ক্ষোভ প্রশমিত করেছিলেন!     

চলুন ফিরে যাই ওলন্দাজ চিত্রশিল্পীর কথায়। যার হাজারের বেশি চিত্রের মাঝে অন্যতম হোল 'A Pair of Shoes'।  ভিনসেন্ট ভ্যান গো এর এই চিত্র টি নিয়ে লিখেছেন বিখ্যাত দার্শনিক মার্টিন হাইদেগার। যিনি হলেন পোস্ট-মর্ডানিস্ট শিল্পী, লেখক, কবি, ও সংগীতজ্ঞদের গুরুদেব। ১৯৫০ সালে জার্মান ভাষায় ছাপানো তাঁর প্রবন্ধটির নামকরণ হোল 'Der Ursprung des Kunstwerkes'। যার ইংরেজি হল 'The Origin of the Work of Art'। হাইদেগার চিত্রটির ব্যাখ্যা করেছেন ফেনোমেনলজি অর্থাৎ রূপতত্ত্বের আলোকে। তিনি তাঁর দিব্য দৃষ্টিতে দেখেছেন ডান দিকের জুতোর হালকা রঙের আলোকিত অংশে এক পল্লীবালা। আমার সাধারণ দৃষ্টিতে ধরা দেয়নি পল্লীবালা। তাঁকে আবিষ্কার করলাম স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিষয়ক ওয়েব সাইটে।  সেখানে  কলম দিয়ে দাগ কেটে দেখানো হয়েছে পল্লীবালার দেহের রূপরেখা। হাইদেগার দেখেছেন পল্লীবালার হাতের কাছে মাটি খোঁড়ার ছোট একটি নিড়ানি। জুতোর নীচের অংশে গাঁড় রঙের অভ্যন্তরকে হাইদেগার বলেছেন অজানা রহস্যে আবৃত Earth অথবা  'অজানা ধরণী'। পল্লীবালা নিড়ানি দিয়ে 'অজানা ধরণী' কে খুড়ে শস্য ফলায়। শস্য হোল পল্লীবালার World  অথবা 'জ্ঞাত পৃথিবী' র বেঁচে থাকার সম্ভার। হাইদেগারের মতে জুতোটি প্রকাশ করছে 'অজানা ধরণী' এবং  'জ্ঞাত পৃথিবী' র ক্রমাগত সংগ্রাম। মানুষের জীবন যুদ্ধের চলমান আখ্যান। এছাড়াও হাইদেগার তাঁর কঠিন দার্শনিক ভাষায় প্রকাশ করেছেন রূপতত্ত্ব অথবা phenomenology এর বিষয় ও বিষয়ী। হাইদেগারের ভাষায় A Pair of Shoes  এক নান্দনিক সৃষ্টি - জীবন যুদ্ধের এক অপূর্ব চিত্রকল্প যেখানে বিষয় ও বিষয়ী লীন হয়ে গেছে। আমি উদ্ধৃতি দেব হাইদেগারের। “From the dark opening of the worn insides of the shoes the toilsome tread of the worker stares forth. In the stiffly rugged heaviness of the shoes there is the accumulated tenacity of her slow trudge through the far-spreading and ever-uniform furrows of the field swept by a raw wind.”   হাইদেগারের বর্ণনায় আরও উঠে এসেছে পল্লীবালার নিঃসঙ্গতা, পরের বেলা আহার মিলবে কিনা তার দুঃচিন্তা, সামান্য পাওয়ার ক্ষণিক আনন্দ, শিশু প্রসবের কম্পমান যাতনা, ও সম্ভাব্য মৃত্যুর বিষম শঙ্কা।

১৯৬৮ সালে 'A Pair of Shoes' এর উপর প্রবন্ধ 'The Still Life as a Personal Object' ছাপালেন শিল্পকলার নামজাদা সমালোচক মেয়ার শাপিরো (Meyer Schapiro)। তিনি হাইদেগারের বিশ্লেষণ নাকচ করে দিলেন। তাঁর মতে ঐ জুতো জোড়া কোনো পল্লীবালার নয়। ও গুলো পরিধান করেছেন ভিনসেন্ট ভ্যান গো নিজেই। মেয়ার শাপিরোর মতে  'এক জোড়া জুতো' চিত্রটি হোল শিল্পীর নিজের দুঃখময় জীবনের কঠিন বাস্তবতার আলেখ্য। তাঁর মতে চিত্রে থাকে চিত্রকরের নিজস্ব উপস্থিতি।  

তাহলে জার্মানির ফ্রেইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামজাদা অধ্যাপক এবং পোস্ট-মডার্ন এর গুরু দেব দার্শনিক হাইদেগার কি বঙ্কিম চন্দ্রের কমলাকান্তের মত গাজা সেবন করে দিব্য জ্ঞান লাভ করেছিলেন? নিশ্চয়ই নয়। সেকালে ইউরোপে গাজার প্রকাশ্য অথবা গোপন প্রচলন সম্পর্কে আমার জ্ঞান সীমিত।   

ভিনসেন্ট ভ্যান গো এর জুতোর চিত্র নিয়ে আলোচনার সমাপ্তি এখানেই নয়। ১৯৭৮ সালে বিখ্যাত দার্শনিক জ্যাক দারিদা ছাপালেন এক বিশাল প্রবন্ধ 'Restitutions of the Truth in Pointing'। তিনি হাইদেগার এবং শাপিরো কে নাকচ করে দিলেন। Deconstruction Theory এর জনক জ্যাক দারিদা নিষ্ঠুর ভাষায় ডি-কন্সট্রাক্ট করে দিলেন হাইদেগারের ব্যাখাটি।

চিত্রের ব্যাপারে বিবিধ জিনিস এ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আমি দুটো উল্লেখ করবো। একটি হোল আর্ট ক্রিটিক অথবা সমালোচনা। অন্যটি হল নন্দনতত্ত্ব।    

'A Pair of Shoes' সম্পর্কে আমার আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল আর্ট ক্রিটিক অথবা সমালোচনায় নানা মুনির নানা মত তুলে ধরা। বিশ্বের এক নামজাদা শিল্পীর আঁকা ছবিটি নিয়ে দুই শতাব্দী জুড়ে তিনটি দেশ (জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র) এর তিন মহারতির তিন ধরনের ব্যাখ্যা। তিন জনই হলেন পশ্চিম বিশ্বের জ্ঞান রাজ্যের দিক পাল। এর সাথে আমরা যদি যোগ করি Edward Said এর আলোচিত 'Orientalism', তাহলে আর্টের সমালোচনার জটিলতা হবে অমীমাংসার নভ মণ্ডলে বিচরণের সমতুল্য।  জাপানী লেখক আকুতাগাওয়া এর  রচিত এবং আকিরা কুরাসাওয়া এর পরিচালিত চলচ্চিত্র 'রসোমন' এর অবস্থা। কে খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার কিনারা নেই। চার জন সাক্ষীর চারটি ভিন্নতর বিবরণ। অপর দিকে, একটি স্থির চিত্রশিল্প  'A Pair of Shoes' এর বিবরণ ও ব্যাখ্যায়ও  আমরা দেখতে পাই - মন্ময়তা ও তন্ময়তার অবিরাম খেলা চলছে সমালোচকের রহস্যময় চৈতন্যের অন্তহীন আকাশে। শিল্পীরা হয়ত  ভাবছেন আমি নাস্তির উপাসক। আর্ট ক্রিটিক অথবা সমালোচনার ব্যাপারে আমার বক্তব্য হোল - শিল্পীরা যারা মনের মাধুরী দিয়ে এক ধরনের সন্ন্যাসব্রত নিয়ে চিত্রশিল্পে যোগী হয়েছেন, তাঁদের অবদানের মর্যাদা হিমালয় তুল্য। তাঁদের বিচরণ নক্ষত্রের রাজ্যে। সমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সমালোচনাই শেষ কথা নয়। বিরূপ সমালোচনায় যেন কারও আরাধনার সমাপ্তি না ঘটে।    

আজ মনে পড়ছে  জীবনানন্দের 'ঝরা পালক' কাব্য গ্রন্থ সম্পর্কে মহাকবি রবীন্দ্রনাথের চিঠি, "তোমার কবিত্বশক্তি আছে তাতে সন্দেহমাত্র নেই । – কিন্তু ভাষা প্রভৃতি নিয়ে এত জবরদস্তি কর কেন বুঝিতে পারিনে । কাব্যের মুদ্রাদোষটা ওস্তাদিকে পরিহাসিত করে । বড় জাতের রচনার মধ্যে একটা শান্তি আছে , যেখানে তার ব্যাঘাত দেখি সেখানে তার স্থায়িত্ব সম্বন্ধে সন্দেহ জন্মে । জোর দেখানো যে জোরের প্রমাণ তা নয় বরঞ্চ উল্টো।” জীবনানন্দের কবিতা সম্পর্কে শনিবারের চিঠির সজনীকান্তের নিষ্ঠুর বাক্যবাণ। সুধীন দত্তের আগ্রাসী আক্রমণ। কিন্তু জীবনানন্দ চিরঞ্জীব হয়েছেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে।

চারুশিল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোল নন্দনতত্ত্ব। নন্দনতত্ত্বের মুল বিষয় হোল সৌন্দর্যের সংজ্ঞা এবং ব্যাখ্যা। নন্দনতত্ত্বের আনুষ্ঠানিক জন্ম হয়েছিল গ্রীসে। প্লেটোর 'আয়ন' ও 'ফিড্রাস' বই দুটোতে এবং অ্যারিস্টটলের পোয়েটিক্স ও মেটাফিজিক্স বই দুটোতে নন্দনতত্ত্ব বিষয়ক সংলাপের মুলে ছিল অনুকরণ অর্থাৎ  Imitation mimesis or RE-PRESENTATION. হাজার বছরের পথ পেরিয়ে, অনেক খড় কুটো পেরিয়ে, এই নিউ ইয়র্ক শহরে ১৯১৭ সালে মার্ছেল ডূশাম্প (Marcel Duchamp) নন্দনতত্ত্বের প্রচলিত ধারণার হাত পা ভেঙ্গে দিলেন। ভাস্কর্য হিসেবে দাখিল করলেন প্রস্রাবের জন্য ব্যবহৃত একটি মূত্র-ধানী। মূত্র-ধানীটি ৯০ ডিগ্রী আবর্তিত করে নাম দিলেন 'Fountain'।  নন্দনতত্ত্বের অর্থাৎ সৌন্দর্যের নতুন সংজ্ঞা এবং ব্যাখ্যা প্রদান করলেন। এই চারুশিল্পটি এখন গৌরবের অন্যতম আসনে আসীন। তিনি বললেন সৌন্দর্য শুধু 'চোখের দেখা - Retinal' নয়। এটা হওয়া উচিত 'মস্তিষ্কসংক্রান্ত - Cerebral'। 

নন্দনতত্ত্ব অর্থাৎ সৌন্দর্য সম্পর্কে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ধারণা ছিল রোমান্টিক কবিদের মত। কিছুটা নিও-প্লেটোনিক ধরণের। তিনি সৌন্দর্যের আওতা থেকে বাদ দিয়েছিলেন বকফুল ও সজনে ফুল। তাঁর কাছে গোলাপ, পদ্ম, ইত্যাদি রূপের পশরায় উচ্চকিত। কিন্তু তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র ভারত বর্ষের আধুনিক চিত্রকলার অন্যতম জনক অবনী ঠাকুরের মতে, অসুন্দরও সুন্দর হতে পারে। উদাহরণ এক পরিত্যক্ত পচা ডোবা। দিনের আলোয় নিদারুণ অসুন্দর। কিন্তু রাতে মৃদু মন্দ জোছনার আলোকে ও পাশের গুল্ম   লতায় জোনাকির ঝিকিমিকি তে সেই পচা ডোবাটিও হতে পারে  সৌন্দর্যের আঁধার। চারুকলায় উচ্চ শিক্ষিত জোরাসাঁকো জমিদার বাড়ীর অবনী ঠাকুর আর বরিশালের পচা ডোবার পাশে শ্মশান ঘাটের কিনারার অধ্যাপক জীবনানন্দের সৌন্দর্যের আপেক্ষিকতার মাপকাঠিতে রয়েছে বিস্ময়কর মিল। বোদলেয়ারের মননে পাখা মেলে অভিশপ্ত ফুল - Les Fleurs du mal by Charles Baudelaire। অনুভবের রিষ্টময় রূপ। শরৎচন্দ্রের চোখে ধরা দেয় আঁধারের রূপ। বাংলাদেশের আধুনিক চারুকলার জনক জয়নুল আবেদিনের কাছে ১৯৪৩ সালের (১৩৫০ বঙ্গাব্দে) 'পঞ্চাশের মন্বন্তর' এ রয়েছে দুঃখ বেদনার করুন সৌন্দর্য। অনুভূতির মায়াময় প্রকাশ।  সৌন্দর্যের বিবিধ প্যারাডিম।

উপসংহারে বলা যায়, ললিতকলার বিশ্লেষণ এবং নান্দনিকতার বিচারিক সিদ্ধান্ত আপেক্ষিক, ক্রম পরিবর্তনশীল, এবং দৃষ্টিকোণ-নির্ভর।

(প্রবন্ধটি রচিত হয়েছে এমেরিটাস অধ্যাপক এবং সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোস্তফা সারওয়ারের ৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির ‘জ্যামাইকা সেন্টার ফর আর্টস এ্যান্ড লার্নিং’ এ প্রদত্ত  প্রধান অতিথির ভাষণ ভিত্তি করে। ‘বাংলাদেশি-আমেরিকান আর্টিস্ট ফোরাম’  এর ৩৪ শিল্পীর স্মৃতিকথা আলোকে ১৪ দিন ব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছিলেন ড. মোস্তফা সারওয়ার।)