এইসব ভালবাসে আমার হৃদয়

অমৃতা ইশরাতঅমৃতা ইশরাত
Published : 14 August 2022, 02:51 AM
Updated : 14 August 2022, 02:51 AM

প্রাচীন পৃথিবীর পথে পথে যতবার এমন অবনত সন্ধ্যা নেমেছে

ব্যাবিলনের বিস্তীর্ণ জনপদ ঘুরে আমরা দেখেছি হাম্মুরাবির রাজত্ব

সূর্যসংক্রান্তির ভোরে দেখেছি সাইরাসের রণক্ষেত্র, বিধ্বস্ত শূণ্য উদ্যান

অনতিদূরে আই স্টোনে থমকে ছিল নেবুচাদ নেজারের মুখ!

অথচ যুদ্ধ জানতেনা বলে তুমি পারস্য উপসাগর পাড়ি দিয়ে ফিরে এসেছিলে শিরাজে

চিরবসন্তের সেই নগরী তোমাকে বুঝিয়েছিল ফুলের মর্ম

বস্তুত তুমিও ফুটে উঠেছিলে গোলাপের প্রচ্ছায়ায়।

আর নিজের দুর্ভাগ্যের কিউনিফর্ম হাতে নিয়ে

মায়োসিন যুগের বিষন্ন পেঁচার মতন

আমি ঢুকে পড়েছিলাম ইশতারের মন্দিরে

আহা, স্বর্গের রানি!

যার পদতলে সিংহ নিশ্চুপ বসে থাকে, কাঁধে স্নিগ্ধ পারাবত

প্রজ্ঞার দেবতা এনকির কাছ থেকে যে হরণ করেছিল সভ্যতার প্রতীক

ফুলে-ফসলে ঢেকে দিয়েছিল প্যালিওলিথিক প্রান্তর

দেখিয়েছিল শুকতারা—

সুমেরীয়দের সে-ই তো শিখিয়েছিল মহাজাগতিক মন্ত্র

ঠিক যেভাবে আবিস্কৃত হয়েছিল জলঘড়ি আর চাকা।

মানব-প্রণয়ী সেই সোনার প্রতিমা

উরুক রাজ্যের রাজা গিলগামেশকে ভালবেসেছিল

অথচ সে ছিল অমরত্বের আকাঙ্ক্ষায় বিভোর

ক্রুদ্ধ ইশতার মন্দিরের দেয়ালে, অ্যাসিরীয় আকাশে ছড়িয়ে দিয়েছিল স্মরণীয় নক্ষত্র

জানি—অমরত্বের প্রত্যাশায় নক্ষত্রের পথ ধরেই হেঁটেছিল গিলগামেশ

তিনহাজার পঙক্তির রচয়িতা, মহাকবি।

দুঃখিতা দেবী ইনানা-ইশতার

এই সত্য তুমি বুঝি জেনেছিলে

মানবের প্রেম কখনো হয়ে ওঠে পরম আরাধ্য

আর প্রেমিক সে তো নিতান্তই ভক্ত কখনো ক্রীতদাস!