“এখন যারা ছবি আঁকে, তাদের এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে না,” বলেন তিনি।
Published : 04 Jul 2024, 09:58 PM
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একসময় চারুকলা বিষয়ে পড়ালেখাকে এখনকার মত স্বাভাবিকভাবে নেওয়া হত না জানিয়ে নিজের জীবনের গল্প শোনালেন চিত্রশিল্পী হাসেম খান।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমি অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে, পরিবার ও সমাজের সঙ্গে লড়াই করে চারুকলায় পড়তে এসেছি। তখন চারুকলায় পড়াটাও সমাজ বাঁকা চোখে দেখত।
“এখন যারা ছবি আঁকে, তাদের এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে না। কিন্তু সেই কুসংস্কারচ্ছন্ন সমাজের ইতিহাসও এ প্রজন্মকে জানতে হবে।”
শিশু একাডেমির রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই মিলনায়তনে ‘রং তুলিতে বাংলাদেশ' শীর্ষক একক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
শিশুদের উদ্দেশে হাশেম খান বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আমি এসেছি শুধুমাত্র তোমাদের জন্য। তোমাদের সঙ্গে গল্প করতে। পড়াশোনার পাশাপাশি সংগীত, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, অভিনয়ের মত বিষয়গুলোতেও শিশুদের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
“এই জ্ঞান না থাকলে তুমি আমাদের সংস্কৃতি বুঝতে পারবে না। এ কারণেই শিশু একাডেমির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। নিজের সংস্কৃতিকে চিনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।”
বইয়ের প্রচ্ছদে ছবি আঁকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তোমাদের (শিশুদের) বইয়ে আমি ছবি আঁকি। কারণ তোমরা যদি বইটি পাঠের পাশাপাশি একটা ছবি দেখ- তাহলে সেটা আরও বেশি বেশি তোমাদের মনে থাকবে। শুধু এ কারণেই আমি পাঠ্যবইয়ে ছবি এঁকেছি।”
অনুষ্ঠানে শিশুদের সঙ্গে আড্ডায় মাতেন হাসেম খান। শিশুদের আঁকা ছবির প্রদর্শনীও ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন বলেন, “হাশেম খানের হাতেই আমরা বাংলাদেশ দেখেছি। পাখি কেমন হয়, ফুল কেমন হয়, তা আমরা হাশেম খানের ছবি দেখে জেনেছি। হাশেম খান তার আঁকা ছবির মাধ্যমে আমাদের দেখিয়েছেন, কীভাবে বাংলাদেশকে রং তুলির মাধ্যমে তুলে ধরা যায়।”
শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, লেখক সুজন বড়ুয়া, শিশু সাহিত্যিক স. ম. শামসুল আলম, মণি হায়দার, আসলাম সানী, জাহিদ মোস্তফা, অভিজিৎ চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।