কিন্তু তিনি সারাজীবন অবিবাহিতই থেকে গেছেন। এইসব নারীর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলেন কবি অমৃতা প্রিতম। অমৃতা অত্যন্ত অনুরক্ত ছিলেন সাহিরের।
Published : 06 Mar 2025, 01:02 AM
ইয়ে জিন্দেগি উসিকি হ্যায়
'আনারকলি' (১৯৫৩) ছবির গান এটি। আনারকলি একটি বেদনাবিধুর নাম। কোনো-কোনো ইতিহাসবিদ আনারকলির কাহিনিকে সত্য বলে বর্ণনা করেন, কেউ-কেউ মনে করেন যে এর কোনো বাস্তবতা নাই, এটি নিছক একটি কাল্পনিক প্রেমের গল্প। বর্ণনায় আছে, আনারকলি ছিল এক ক্রীতদাসের কন্যা যার সাথে প্রণয় গড়ে উঠেছিল মোগল রাজপুত্র সেলিমের, যিনি পরে বাদশাহ জাহাঙ্গীর নামে দিল্লির সিংহাসনে সমাসীন হন। বর্ণিত আছে, শাহজাদার সাথে প্রেম করার অপরাধে, সম্রাট আকবরের নির্দেশে তাকে দেয়ালের ভিতরে আবদ্ধ করে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়। অন্য বর্ণনায় আছে, প্রথমে সমাহিত করার পর বাদশাহ আকবর তাকে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দেন। আরেক আখ্যানে আছে, আকবরের মৃত্যুর পর সেলিম তাকে ডাকিয়ে আনেন ও বিয়ে করেন ও তারই নতুন নাম হয় সম্রাজ্ঞী নুরজাহান।
পাকিস্তানের লাহোরে একটি সমাধি আছে যাকে লোকে আনারকলির সমাধি বলে। আনারকলিকে নিয়ে নানাবিধ তথ্য-বিশ্লেষণ ও লোকশ্রুতি-ভিত্তিক রচনা রয়েছে। আনারকলি বিবিধ নাটক, সিনেমা ও গানের বিষয়বস্তু হয়েছেন। 'ইয়ে জিন্দেগি উসুকি হ্যায়' বলিউডের হিন্দি সিনেমা 'আনারকলি' (১৯৫৩)-র। পরিচালক : নন্দলাল যশবন্তলাল। প্লে ব্যাক গেয়েছেন লতা মুঙ্গেশকর। গানের সুরকার : চিতলকার রামচন্দ্র। গীতিকার : রাজিন্দার কৃষাণ বা রাজেন্দ্র কৃষাণ।
ইমতিয়াজ আলি তাজ রচিত নাটক 'আনারকলি'-র কাহিনি অবলম্বনে এই ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য তৈরি হয়। সৈয়দ ইমতিয়াজ আলি তাজ (১৯০০ - ১৯৭০) উর্দু ভাষার একজন নাট্যকার ছিলেন। ১৯২২ সালে আনারকলির জীবনভিত্তিক নাটক 'আনারকলি' প্রকাশিত ও শতাধিকবার মঞ্চায়িত হয়। ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক সিনেমা এই নাটকের কাহিনী অবলম্বনে তৈরি হয়। এইসব সিনেমার মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ছবি 'মোগল-এ আজম' (১৯৬০)।
গীতিকার রাজেন্দ্র কৃষাণ ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবে (এখন যা পাকিস্তানে অবস্থিত) জন্মগ্রহণ করেন। আট বছর বয়সে তিনি কবিতার প্রতি আকৃষ্ট হন। পেশাগত জীবনের প্রথম দিকে কেরানীগিরি করেন। এইসময় প্রচুর কাব্যপাঠ করেন তিনি। অতঃপর চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি তিনি বোম্বে (মুম্বাই)-তে চলে যান ও সেখানে হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্য রচয়িতার পেশা গ্রহণ করেন।
মহাত্মা গান্ধী নিহত হওয়ার পর তিনি একটি গান লেখেন : সুনো সুনো আয়ি দুনিয়াওয়ালোঁ, বাপু কি ইয়ে অমর কাহানি। মোহাম্মদ রফি গানটি করেন ও এটি সুপারহিট হয়। এরপর গীতিকার হিসেবে তার কাজ বেড়ে যায়। অনেক বিখ্যাত ছবির গীতিকার তিনি। ১৯৮৭ সালে মুম্বাইতে প্রয়াত হন তিনি।
'ইয়ে জিন্দেগি উসিকি হ্যায়' গানটির দুটি রূপ আছে। একটা মিলনাভিসারী, অপরটি বিচ্ছেদমূলক। দুটো গানের সুর ও গঠন একই রকম এবং দুটোরই আস্থায়ীটি অভিন্ন। পরপর দুটো রূপেরই বাংলায় রূপান্তর দিচ্ছি।
মিলনাভিসার
এ জীবন তারই, যে-জন অন্য কারো হয়ে গেছে,
প্রেমের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছে।
এই বসন্ত, ঋতুশোভা, বলে : প্রেম করো
কারো কামনায় হৃদয় তোমার উতলা করো।
জীবনটা বড় অবিশ্বস্ত,
প্রেমানন্দকে চুরি করো।
স্পন্দন জাগে হৃদয়ে, তাতে কী?
সে-হৃৎশব্দ গুনো না;
আবার যদি-সে পায়-বা সময়
এ-দিন-রাত তো পাব না;
মিলনানন্দ ওই তো আসছে
সব ভুলে প্রেমে মত্ত হও।
বিচ্ছেদ
এ জীবন তারই, যে-জন অন্য কারো হয়ে গেছে,
প্রেমের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছে।
যে-দুটি হৃদয় মেলেনি এখানে
ও-জগতে তারা মিলবে,
ইচ্ছার ফুল ওই আসমানে ফুটবে;
এই জীবন তো চলেই গিয়েছে
প্রেমের নামেই, তাতে কী হয়েছে?
আমার কবরে প্রদীপের শিখা
বলবে এই কাহিনি,
আমার ফুলের কলি ফুটে থাক
সেইখানে অবিরাম;
ওটাকে কবর বলো না, ওটা তো প্রেম-মহল।
এসো জীবনের সন্ধ্যা এসো গো
বুকে টেনে নেব আমি,
তোমার মধ্যে ডুবে যাব আমি,
তোমার জন্য দুনিয়া ভুলব আমি;
প্রিয়তম, শুধু একবার দাও
তাকাতে তোমার দিকে,
তারপর বলি :
বিদায় বিদায় বিদায় বিদায় বিদায়।
Yeh zindgi usiki hai
Jo kisi ka ho gya
Pyaar hi me kho gya
Yeh bahar yeh sama keh raha hai pyaar kar
Kisi aur ki arzoo me apne dil ko bekrar kr
Aa rhi hai yeh sada mastion me doob ja
Yeh zindgi...
Dhadak raha hai dil to kya
Dil ki dhadkne na gin phir kaha yeh fir ske phir kaha yeh
raat din
Zindgi hai bewaffa loot pyaar ka maza
Yeh zindgi...
Suna rhi hai yeh dastan
Shama mere mazaar ki
Khiza mitti khili rhi yeh kaliyan naar ki
Ise mazaar mat kaho
Yeh mehal hai pyaar ka.
Yeh zindgi...
Hai zindgi ki shaam aa
Tujhe gale lgao mai
Tujhi me doob jau mai
Jahan ko bhool jau mai
Bs ik nazar mere sanam
Alvidaa alvida alvidYuhi
কাভি কাভি মেরে দিল মেঁ
[বলিউডের ছবি 'কাভি কাভি' (১৯৭৬)-এর গান এটি। ছবিটি পরিচালনা করেন ইয়াশ চোপড়া। গানটি গেয়েছেন মুকেশ। মুকেশের গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর একটি এটি। গানটির সুরকার খৈয়াম। এর গীতিকার সাহির লুধিয়ানভি। এই গানটিকে সাহির লুধিয়ানভির একটি মাস্টারপিস হিসাবে গণ্য করা হয়। মূল গানটি সাহিত্যিক উর্দুতে রচিত, ওটি তার কাব্য 'তালখিয়ান'-এর অন্তর্ভুক্ত। সিনেমার জন্য সহজ শব্দ প্রয়োগ করে উপযুক্ত করা হয়েছে। গানটি আসলে খৈয়াম তৈরি করেন ১৯৫০ সালে তৈরি, কিন্তু মুক্তি পায়নি এমন, একটি সিনেমার জন্য। গীতা দত্ত ও সুধা মালহোত্রকে দিয়ে গানটি রেকর্ডও করানো হয়। কিন্তু সেই রেকর্ড কখনও প্রকাশিত হয়নি। এই সিনেমায় মুকেশের গাওয়া গানটি অমিতাভ বচ্চন ও রাখি চিত্রায়ণ করেন। কাশ্মীরে শুটিং হয়েছিল। গানটির আরেকটি প্রকরণ আছে, সেটি মুকেশ ও লতা মুঙ্গেশকরের যুগলবন্দি। এটির দৃশ্যায়ন হয় রাখি ও শশি কাপুরের বিয়ের অনুষ্ঠানে। ১৯৭৬ সালের বর্ষসেরা গান রূপে জনপ্রিয় হয় এটি। ১৯৭৭ সালে গানটির গীতিকার সাহির লুধিয়ানভি, সুরকার খৈয়াম ও গায়ক মুকেশ ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড লাভ করে। গানটি পরবর্তীতে রিমিক্স হয়। সাহির লুধিয়ানভি তার তাখাল্লুস বা কলমি নাম, আসল নাম আবদুল হাই (১৯২১ - ১৯৮০)। ভারতীয় কবি ও সিনেমার গীতিকার। তিনি হিন্দি ও উর্দু দুই ভাষাতেই লিখেছেন।
ব্রিটিশ ভারতে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্ম তার ১৯২১ সালে। বোম্বেতে ১৯৮০ সালে ঊনষাট বছর বয়সে প্রয়াত হন। প্রগতি লেখকসঙ্ঘ'র সাথে যুক্ত ছিলেন। পদ্ম শ্রী, ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে দুইবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান, তার একবার 'কাভি কাভি' ছবিটিতে তার কাজের জন্য। তার লেখা গান বোম্বের চলচ্চিত্র শিল্পে বড় ভূমিকা রেখেছে।
কলেজে পড়ার সময় থেকে সাহির গজল-নজম এবং ওজস্বী বক্তৃতার জন্য খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন। ১৯৪৩ সালে তিনি লাহোরে স্থিত হন ও উর্দু ভাষায় তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'তালখিয়ান' (তিক্ততা) (১৯৪৫) রচনা শেষ করেন। তিনি কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন। প্রগতি লেখক সঙ্ঘের সদস্য হন তিনি। তিনি কমিউনিজমের পক্ষে বিতর্কমূলক বক্তব্য রাখলে পাকিস্তান সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ১৯৪৯ সালে সাহির লাহোর ছেড়ে দিল্লিতে পালিয়ে যান। আট সপ্তাহ পরে তিনি বোম্বেতে চলে যান।
পরে তিনি আন্ধেরি নামে মুম্বাইয়ের এক উপশহরে বসবাস করতে শুরু করেন যেখানে তার প্রতিবেশী ছিলেন কবি ও গীতিকার গুলজার ও উর্দু সাহিত্যিক কৃষণ চন্দর। ১৯৭০ এর দশকে তিনি 'পারচাইয়াঁ' (ছায়া) নামে একটি বাংলো তৈরি করেন ও আমৃত্যু সেখানে বসবাস করেন। তার জীবনে অনেক নারী এসেছিল। কিন্তু তিনি সারাজীবন অবিবাহিতই থেকে গেছেন। এইসব নারীর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলেন কবি অমৃতা প্রিতম। অমৃতা অত্যন্ত অনুরক্ত ছিলেন সাহিরের। সাহির ঠিক সমানুপাতে তাকে ভালোবেসেছিলেন, এমন বলা যায় না। ১৯৮০ সালে আকস্মিক হৃদযন্ত্রের বিকলতায় ঊনষাট বছর বয়সে সাহির লুধিয়ানভি প্রয়াত হন। সাহির ধূমপান ও মদ্যপানে অভ্যস্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বন্ধু কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতার উপস্থিত ছিলেন।
সাহিরের গান তার সমসাময়িকদের চাইতে আলাদা ধরনের। প্রথাগতভাবে খোদা, সৌন্দর্য বা মদের প্রশস্তি তিনি করেননি। বরং তার গানে তিক্ত ও সংবেদনশীল বর্ণনা পাওয়া যায় সমাজের মূল্যবোধের পতন, যুদ্ধের অর্থহীনতা, রাজনীতির অন্তঃসার শূন্যতা, প্রেমের বদলে ভোগবাদের আধিপত্য এইসব বিষয়ের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, 'পিয়াসা' ছবিতে সাহিরের গানে তিনি চমকিত হয়েছেন। ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের কবিতায় সাহির প্রভাবান্বিত হয়েছেন। ফয়েজের মতোই তার কবিতায় বুদ্ধিবৃত্তিক উপাদান আছে যা ১৯৪০, ৫০ ও ৬০ দশকের তরুণদের আকর্ষণ করেছিল। ওই সময়ের জনগণের অনুভূতির প্রতিফলন পাওয়া যায় তার কবিতায়। তাজমহল বিষয়ক একটি কবিতায় সাহির তার প্রেমাস্পদকে বলছেন, তার সাথে যে কোনো জায়গায় দেখা করতে, তাজমহলকে বাদ দিয়ে। কারণ এটা বাদশাহর শান শওকতের নিদর্শন, প্রেমিক হৃদয়ের পক্ষে সফর করে এখানে এসে প্রেমবিনিময় অনাবশ্যক।
কাভি কাভি মেরে দিল মেঁ
মাঝে মাঝে এই হৃদয়ে আমার অনুভব হয়,
কেবল আমারই জন্য তোমার সৃষ্টি হয়েছে।
এ পর্যন্ত ছিলে তুমি ওই তারার দেশে,
আমারই জন্য তোমাকে জমিনে ডাকা হয়েছে।
মাঝে মাঝে এই হৃদয়ে আমার অনুভব হয়,
এ শরীর আর এই চোখ দুটো আমার,
চুলের নিচে যে ছায়া আছে সেটা আমারই জন্য
এই দুটি ঠোঁট, এই দুটি বাহু আমার।
মাঝে মাঝে এই হৃদয়ে আমার অনুভব হয়
রাস্তার ধারে সানাইয়ের সুর যেন-বা বাজে,
যেন মধুরাতে খুলছি তোমার ঘোমটা আমি
লজ্জানম্র আসছ তুমি এ বাহুর মাঝে।
মাঝে মাঝে এই হৃদয়ে আমার অনুভব হয়
চিরকাল তুমি ভালোবেসে যাবে আমাকে এমনই,
তাকিয়ে থাকবে প্রেমভরা চোখে আমার দিকে;
জানি তুমি পর -- তুমি অপরের -- তবুও এমনই।
Kabhi Kabhi Mere Dil Me, Khayal Aata Hai
Ke Jaise Tujhko Banaya Gaya Hai Mere Liye
Tu Ab Se Pahle Sitaro Me Bas Rahi Thi Kahi
Tujhe Zami Pe Bulaya Gaya Hai Mere Liye
Kabhi Kabhi Mere Dil Me, Khayal Aata Hai
Ke Ye Badan Ye Nigahe Meri Amanat Hai
Ye Gesuo Ki Ghani Chhao Hai Meri Khatir
Ye Hoth Aur Ye Bahe Meri Amanat Hai
Kabhi Kabhi Mere Dil Me, Khayal Aata Hai
Ke Jaise Bajati Hai Shahnaiya Si Raho Me
Suhag Rat Hai Ghunghat Utha Raha Hu Mai
Simat Rahi Hai Tu Sharama Ke Apni Baho Me
Kabhi Kabhi Mere Dil Me, Khayal Aata Hai
Ke Jaise Tu Mujhe Chahegi Umar Bhar Yu Hi
Uthegi Meri Taraf Pyar Ki Nazar Yu Hi
Mai Janata Hu Ke Tu Gair Hai Magar Yu Hi
এক পেয়ারকা নাগমা হ্যায়
গানটি Shor (১৯৭২) ছবিতে লতা মুঙ্গেশকর ও মুকেশ গেয়েছেন। ভীষণ জনপ্রিয় এই গানটিতে সুর দিয়েছেন লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারিলাল। গানটির রচয়িতা সন্তোষ আনন্দ।
সন্তোষ আনন্দ ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতের যুক্তপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। সত্তরের দশকের শুরু থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে গীতিকার হিসাবে তিনি বিখ্যাত। তিনি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায় তার সবচেয়ে বিখ্যাত গান হলেও তার লেখা আরও অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে।
এটা তো একটা প্রেমের গান
এটা তো একটা খুশির ঢেউ
জীবনটা আর কিছুই নয়
তোমার-আমার কাহিনি -- এই।
কিছু-বা যখন আছে চাওয়ার
কিছু তো তখন হারাতে হয়,
কিছু হারালেই বিনিময়ে তার
কিছু অর্জন হাসিল হয়।
আসা আর যাওয়া, পাওয়া ও হারানো
জীবনের শুধু অর্থ এই;
মুহূর্তকাল সময়ের থেকে
চুরি করো পুরো জীবনকেই।
তুমি হলে ঢেউ এই নদীর
আর আমি এই নদীর পাড়,
আমার সহায়ে আছো তুমি
রয়েছি সহায়ে আমি তোমার।
আমার দুচোখে আছে সাগর
আশার পানিও আছে চোখেই,
তুফান জাগবে এতো নিশ্চিত,
চলেও যাবে সে সন্দেহ নেই।
ক্ষণে ভেসে আসে মেঘের দল,
চলে যায় ফের, চলে যাবেই;
ছায়ায় ছায়ায় থেকে যায় ছায়া,
চিহ্ন কিছুটা থেকে যাবেই।
Hmm hmm
Umm hm
Umm
Hmm hmm
Ek Pyaar ka nagma hai
Mauzo ki rawani hai
Ek pyar ka nagma hai
Mauzo ki rawani hai
Zindagi aur kuch bh nahi
Teri meri kahani hai
Ek pyar ka nagma hai
Mauzo ki rawani hai
Zindagi aur kuch bh nahi
Teri meri lahani hai
Ek pyar ka ngma hai
La la la la
La la la la
Kuch pakar khona hai
Kuch khokar pana hi
Jiwan k matlab to ana aur jana hai
Do pal ke jiwan se
Ek umra churani hai
Zindagi aur kuch bh nahi
Teri meri kahani hai
Ek pyar ka nagma hai
Tu dhar hai nadiya ki
Mai tera kinara hu
Tu mera sahara hai
Mai tera sahara hu
Aankho me samandr hai
Aashao ka pani hai
Zindagi aur kuch bh nahi
Teri meri kahani hai
Ek pyar ka nagma hai
Toofan ko ana hai
Akar chale jana hai
Badal hai ye kuch pal ka
Chakar dhal jana hai
Parchayiya reh jati
Beh jati nishani hai
Zindagi aur kuch bh nahi
Teri meri kahani hai
Ek pyar ka nagma hai
Mauzo ki rawani hi
Zindagi aur kuch bh nahi
Teri meri kahani hai