আনসার সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

)<div class="paragraphs"><p>আনসার সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

বাসা-কার্যালয় থেকে আনসার প্রত্যাহারে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা সিলেট সিটি মেয়রের

Byসিলেট প্রতিনিধি

সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়রের বাসা ও বাসা সংলগ্ন অস্থায়ী কার্যালয়ের নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। 

মঙ্গলবার রাত ১০টায় জেলা আনসার কমান্ডারের নির্দেশে এই আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

সিটি করপোরেশনের পরিশোধ করা নির্ধারিত ফির বিনিময়ে গত ৬-৭ বছর ধরে অনুমোদন সাপেক্ষে তিন শিফটে ১০ জন আনসার সদস্য এই দায়িত্ব পালন করতেন। 

পরে রাত ১১টায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অভিযোগ করেন, কোনো ধরণের নোটিশ ছাড়া তার নিজের বাসা এবং বাসা সংলগ্ন অস্থায়ী কার্যালয়ের নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে কোনো কারণ বা অবগত না করে তাদের প্রত্যাহার করায় তিনি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। 

সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন তৎপরতা চলছে বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে তিনি ২০ মে তার অবস্থান নগরবাসীর সামনে তুলে ধরবেন। এর আগেই তার নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি করে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি মানসিক চাপে রয়েছি। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেও তো সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাইলে সেটা পাওয়ার নাগরিক অধিকার আমার রয়েছে। 

“নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সামান্যতম সৌজন্যতাও দেখানো হয়নি। কোনো ধরণের নোটিশ ছাড়াই এমনটি করা হয়েছে। এখন আমি নিশ্চিত যে, আমার নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ। ” 

এটা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মনে করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা আনসার কমান্ডার ফজলে রাব্বি জানান, নিয়মানুযায়ী অনুমোদনহীন যেসব জায়গায় আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতেন তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

গত ছয়-সাত বছর ধরে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সিটি করপোরেশন ও তার স্থাপনার নিরাপত্তার অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু মেয়র মহোদয় এবং উনার বাসায় নিরাপত্তার অনুমোদন নেই।” 

সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবন।

এর আগেও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা অতি-উৎসাহী হয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। 

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ মে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২৫ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে ১ জুন পর্যন্ত।

২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে চারবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন বদর উদ্দিন কামরান। ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

এরপর ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।

আরও পড়ুন 

গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ করে মেয়র আরিফ চাইলেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড

মেয়র আরিফের ঢাকা সফর, সিলেটে গুঞ্জন

সিলেটে ভোট করার ইঙ্গিত বিএনপির আরিফের

ভোটে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে ৩ সপ্তাহ সময় চাইলেন আরিফ

মেয়র আরিফকে নিয়ে শোভাযাত্রা; বললেন, ‘মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে মূল্যায়ন করব’

লন্ডন থেকে ‘সিগন্যাল’ নিয়ে ফিরছেন মেয়র আরিফ

নির্বাচনের আগে মেয়র আরিফ লন্ডনে, প্রার্থিতা নিয়ে জল্পনা

‘বাইরের লোক’ আনোয়ারুজ্জামান সিলেট সিটি নির্বাচনে কতটা সফল হবেন

SCROLL FOR NEXT