সমগ্র বাংলাদেশ

মাদকবিরোধী অভিযান: নিহত আরও দুইজন

Byটাঙ্গাইল প্রতিনিধি

এর মধ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে র‌্যাবের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর রংপুরের কাউনিয়ায় এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ বলেছে, তার মৃত্যু হয়েছে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে।

এ নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত ১৪ দিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৪ জনে।

অভিযানে মৃত্যুর ক্ষেত্রে অধিকাংশ ঘটনার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, মাদক কারবারিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে গুলি করায় পাল্টা গুলি চালাচ্ছে পুলিশ বা র‌্যাব, তাতে ঘটছে মৃত্যু।

কয়েকটি ক্ষেত্রে গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়ার কথা জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের মৃত্যু হয়েছে মাদক চোরাকারবারিদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে।

তাদের ওই বক্তব্য ও ঘটনার বিবরণ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রশ্ন তোলার মধ্যেও অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

এর মধ্যে বড় দাগ হয়ে দেখা দিয়েছে টেকনাফে ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হকের মৃত্যু। তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি তার প্রমাণ হিসেবে একটি অডিও টেপও তুলে ধরা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল র‌্যাব-১২ এর উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলছেন, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে কালিহাতী উপজেলার পাইকরা ইউনিয়নের গোলড়া এলাকায় মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি হয়।

নিহত মো. রুহুল (২৮) একজন ‘চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি’ এবং তার নামে ‘বিভিন্ন থানায় মাদক আইনের একাধিক মামলা’ রয়েছে বলে এই র‌্যাব কর্মকর্তার ভাষ্য।  

তিনি বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল রাতে ওই এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে যায়।

“এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবের ওপর আক্রমণ করে গুলি চালায়। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুহুলকে পাওয়া যায়।”

রুহুলকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা রবিউল।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হেরোইন, ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আব্দুল বাতেন ও আবুল কাশেম নামে দুই র‌্যাব সদস্যও এ অভিযানে আহত হয়েছেন।

রংপুর

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভা এলাকা থেকে রোবববার ভোরে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার রাত পৌনে ৪টার দিকে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের টাংরিরবাজার এলাকায় মাদক চোরাকারবারিদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে কাউনিয়া থানার ওসি মামুন অর রশীদের ভাষ্য।

নিহত রফিকুল ইসলাম অপি (৫৩) ওই পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের হরিণচড়া গ্রামের আহসান আলী ছেলে। তার নামে কাউনিয়া থানায় মাদক আইনের ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

রংপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টাংরিরবাজার এলাকায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে খবরে আমরা সেখানে যাই। গিয়ে দেখি একটি গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে আছে। পরে স্থানীয় লোকজন লাশটি মাদক ব্যবসায়ী রফিকুলের বলে শনাক্ত করে।”

ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পিস্তল, ৪৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৯৬টি ইয়াবা উদ্ধারের কথাও জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুর।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুন অর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রফিকুল এর আগে একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার স্ত্রী গিন্নি বেগমও একাধিক মাদক মামলার আসামি। স্বামীর মৃত্যুর পর তাকে এখন এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না।

SCROLL FOR NEXT