ক্রিকেট

নিউ জিল্যান্ডে রেকর্ড পাল্টাতে উন্মুখ মাশরাফি

Byক্রীড়া প্রতিবেদক

দেশের বাইরে এ পর্যন্ত ১৬০টি ওয়ানডে খেলে ৩৭টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা ৭ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। অন্য সংস্করণেও মেলেনি কোনো সাফল্য। 

হতাশার চিত্রটা পাল্টানোর সুযোগ দুই হাতে কাজে লাগাতে চান মাশরাফি। সোমবার ক্রাইস্টচার্চে প্রথম ওয়ানডেতে খেলবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের কণ্ঠে শোনা গেল আশাবাদ।

“অবশ্যই আমাদের মানসিকতা আগের মতো নেই। আগে যেমন নেতিবাচক চিন্তা থাকতো এখন সেসব নেই। খারাপ দিন এখনও আসতে পারে কিন্তু আমরা মানসিকভাবে ইতিবাচক আছি যে, ভালো কিছু করবো।”

২০০৭ সালে প্রথম নিউ জিল্যান্ড সফরে ৬ উইকেট, ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ১০২ রান এবং ১০ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালে ১৪৬ রানের বড় হার দিয়ে সফর শুরু করা দলটি পরের দুই ম্যাচে হারে ৫ ও ৩ উইকেটে। গত বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডেই দুই দলের সবশেষ দেখায় আশা জাগিয়েও ৩ উইকেটে হেরে যায় মাশরাফির দল।

দেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডকে সবশেষ ৭ ওয়ানডেতেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের মাঠেও হারের ব্যবধান ক্রমশ কমিয়ে আনছে তারা। এর প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটারদের মানসিকতাতেও।

“সত্যি কথা বলতে কী, মাইন্ডসেট এবার পুরো আলাদা। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, নিউ জিল্যান্ড এমন একটি জায়গা, যেখানে এসে সব দলকেই ধুঁকতে হয়। আমাদের জন্য ব্যতিক্রম হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে সেটা মেনে নিয়েই আমাদের চেষ্টা করতে হবে।”

সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে আছেন পরীক্ষিত সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ। তরুণ ম্যাচ উইনার মুস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজদের উপস্থিতিতে নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য তাদের আছে।

পরিসংখ্যানও বলছে কতটা এগিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের সর্বশেষ ২৯টি ওয়ানডের ২১টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা যেখানে ওভার প্রতি ৫.৪৮ করে রান করেছেন সেখানে বোলাররা দিয়েছেন ৪.৪৪ করে।

SCROLL FOR NEXT