হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের স্বজনদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি হোক বা না হোক তিনি রাফাহ নগরীতে হামলা চালাবেনই।
Published : 30 Apr 2024, 11:00 PM
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা চললেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহ নগরীতে অভিযান চালানো থেকে নিবৃত্ত হবে না তার দেশ।
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা চলার মাঝে নেতানিয়াহু এই দৃঢ়সংকল্প প্রকাশ করেছেন। আবার হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের স্বজনদের সঙ্গে এক বৈঠকে নেতানিয়াহু এও বলেছেন যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি হোক বা না হোক তিনি রাফাহে হামলা চালাবেনই।
রাফাহে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের ঠিকমত সুরক্ষা ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত সেখানে হামলা না চালানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র বারবারই ইসরায়েলকে সতর্ক করে আসছে। সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই নেতানিয়াহু এমন কথা বললেন।
ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে গাজার জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ফিলিস্তিনি রাফাহ-তে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে ইসরায়েল স্থল হামলা চালালে বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা আছে।
বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটজ কিছুদিন আগে ইসরায়েলি ১২ টিভিতে বলেছিলেন, “চুক্তি হলে আমরা রাফাহে অভিযান স্থগিত করব।”
কিন্তু মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জোর দিয়েই বলেছেন, রাফায় সব লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনের আগেই আমরা যুদ্ধ বন্ধ করে দেব, এমন ধারণা প্রশ্নাতীত। যুদ্ধবিরতি চুক্তি হোক বা না হোক, যুদ্ধে পুরোপুরি জয় হাসিল করতে আমরা রাফাহে ঢুকব এবং সেখানে হামাসের সব ব্যাটালিয়ন নির্মূল করব।”
গাজায় চলমান এই যুদ্ধের শুরু গতবছর ৭ অক্টোবরে। ওইদিন হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে প্রায় ১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে এবং জিম্মি করে ২৪০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে। পাল্টা জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।