গ্রিসের আগাম সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ব্যয় সংকোচন নীতির কঠোর সমালোচনাকারী বামপন্থি দল সিরিজা, যার মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঋণ প্রশ্নে নতুন জটিলতার দিকে যাচ্ছে দেশটি।
Published : 26 Jan 2015, 09:20 AM
৭৫ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, ১৪৯টি আসনে সিরিজা পার্টি জয় পেয়েছে। আর দুটি আসন পেলেই দলটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী এন্টোনিস সামারাস ইতোমধ্যে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। সিরিজা পার্টির প্রধান অ্যালেক্সিস সিপরাসকে টেলিফোনে অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে গ্রিসের ৩২০ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তির বিষয়ে নতুন করে আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া অ্যালেক্সিস সিপরাস বলেছেন, “গ্রিকরা ইতিহাস গড়েছে।”
ভোটের হিসাবে ক্ষমতাসীন নিউ ডেমোক্রেসি আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ভোটের মধ্য দিয়ে গ্রিসের জনগণ কার্যত ইউরো জোনের অর্থ সঙ্কট মেটাতে ব্রাসেলস ও বার্লিনের বেঁধে দেওয়া নীতিকেই প্রত্যাখ্যান করল।
ভোটের ফলের প্রতিক্রিয়ায় জার্মানির বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জেনস ভেইডমান বলেন, “আশা করি গ্রিসের নতুন সরকার এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেবে না যা তারা রাখতে পারবে না এবং যার পূরণের সাধ্য গ্রিসের নেই।”
যুক্তরাজ্য ইউরো জোনে না থাকলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করছেন, গ্রিসের নির্বাচনের ফল পুরো ইউরোপের অর্থনীতিকেই নতুন করে অনিশ্চয়তায় ফেলবে।
ইইউ নেতারা বলে আসছেন, ভোটের ফল যাই হোক না কেন, গ্রিসের উচিৎ হবে ঋণ নেওয়ার সময় করা চুক্তির শর্তকে সম্মান জানানো।
ইউরো জোনের মন্দার মধ্যেই অর্থ সঙ্কটে দেউলিয়াত্বের মুখে পড়া গ্রিস ২০১০ সালে ওই ঋণ নেয়, যার শর্ত হিসাবে চাকরি ছাঁটাই, ব্যয় সংকোচনসহ কঠোর কৃচ্ছ্রতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় গ্রিসকে।
গ্রিসের অধিকাংশ মানুষ এই কৃচ্ছ্রতা মেনে নিতে পারেননি, যার প্রতিফলন ঘটেছে এবারের ভোটের ফলে।
সিরিজা প্রধান অ্যালেক্সিস সিপরাস (৪০) বলেছেন, ঋণের বোঝা থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন সরকার তার আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সাথে সহযোগিতা করতে ও আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।