সোমবার প্রথম প্রহর থেকে তল্লাশি অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন বিভাগের জাতীয় কমিটি।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার নিরাপদ পরিবহন কমিটির প্রধান তাতাং কুমিয়াদি বলেন, “আমরা আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাগরে এবং ভূমিতে উড়োজাহাজটি খোঁজার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের এটি খুঁজে বের করতে পারবো।”
“উড়োজাহাজটি কিভাবে ভূপতিত হল বা কী ধরণের জরুরি অবস্থার অবতারণা হয়েছিল আমরা এখনো সেটা খুঁজে বের করতে পারিনি। এ কারণে কোন বিষয়টির ওপর বেশি গুরুত্ব দেব সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।”
এয়ারএশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এয়ারবাস ৩২০-২০০ মডেলের ওই উড়োজাহাজে ১৫৫ জন যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ১৬২ জন আরোহী ছিলেন।
যাত্রীদের মধ্যে ১৪৯ জন ইন্দোনেশিয়ার ও তিনজন দক্ষিণ কোরিয়ার। বাকি তিনজন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
জাকার্তা এয়ার ট্রাফিকের কর্মকর্তা হাদি মুস্তফা জানান, সুরাবায়ার জুয়ানডা বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে রওনা হয় ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সেটি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার তানজুং পান্ডা বন্দর ও বোর্নিও দ্বীপের পন্টিয়াংক শহরের মাঝামাঝি এলাকায় থাকা অবস্থায় বিমানটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার ঠিক আগেই পাইলট মেঘের কথা বলে আরো উচ্চতায় ওঠার অনুমতি চেয়েছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক জোকো মুরিও আতমোজো জানান, ওই সময় বিমানটি ৩২ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে পাইলট ৩৮ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার অনুমতি চান। যদিও পাইলট সে সময় কোনো বিপদের সংকেত দেননি।
মালয়েশিয়া ভিত্তিক বিমান কোম্পানি এয়ারএশিয়ার ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইন্দোনেশিয়া। ১৩ বছর আগে যাত্রা শুরু করা এয়ারএশিয়ার কোন উড়োজাহাজের এর আগে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনায় পড়ার নজির নেই।
সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া উড়োজাহাজটি অনুসন্ধানে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে।