ফলে ভোট কারচুপির অভিযোগে এখন তাকে যুক্তরাজ্যের হাই কোর্ট বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আর এই বিচারের রায়ে তার বিজয়ের ফলও উল্টে যেতে পারে।
গত মে মাসে লন্ডনের স্থানীয় কাউন্সিল টাওয়ার হ্যামলেটেসে মেয়র নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লুৎফর দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে।
এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থী এন্ডি এরলানের নেতৃত্বে ওই বারা কাউন্সিলের চারজন ভোটার লুৎফরের বিজয়ের ফলাফল বাতিল করতে হাই কোর্টে আবেদন করেন।
ওই আবেদন বাতিল করতে লুৎফরের পক্ষে আবেদন হলেও আদালত মঙ্গলবার তা নাকচ করে দিয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের দৈনিক গার্ডিয়ান ও লন্ডন ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে।
এরলানদের আবেদনে বলা হয়েছে, ৩ হাজার ভোটে জয়ী লুৎফর ভোটারদের জোরাজুরি করা, ভোট গণনার সময় বহিরাগতদের উপস্থিতি, বর্ণবাদী প্রচারসহ বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।
লুৎফরকে সমর্থন না দিলে ‘প্রকৃত মুসলমান’ হিসেবে পরিচয় রাখা যাবে না- এমন প্রচারও চালানো হয়েছিল বলে তাদের অভিযোগ।
তাদের এই আবেদন বাতিলে লুৎফরের পক্ষে আদালতে করা আবেদনে বলা হয়, এরলানদের উত্থাপিত সব অভিযোগ ভুয়া এবং এর সপক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও নেই। এটা লেবার ও টোরি পার্টির ষড়যন্ত্র।
শুনানির তারিখ না দিলেও এরলানদের আবেদনের সপক্ষে আরো তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৮ অগাস্ট দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
গার্ডিয়ান লিখেছে, এখন আদালত লুৎফরের নির্বাচন নিয়ে তদন্ত শুরু করতে পারে এবং শেষ বিচারে ভোটের ফল উল্টেও দিতে পারে।
আদালতের আদেশে উৎফুল্ল এরলান অনিয়মের বিরুদ্ধে টাওয়ার হ্যামলেটসের সব বাসিন্দাদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভোটের ফলে লুৎফরের কাছে পরাজিত লেবার পার্টির প্রার্থী জন বিগস বলেন, “এত (ভোটে) উদ্বেগের অনেক বিষয় রয়েছে। অনেক মানুষ এখনো মনে করে, ভোটের ফল চুরি করা হয়েছে।”