আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুযোগ কাজে লাগাতে খনিজ তেলের উত্তোলন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ইরান।
Published : 19 Jan 2016, 12:01 PM
সোমবার ইরানি কর্তৃপক্ষের এ নির্দেশের পর দেশটির উপ-তেলমন্ত্রী রোকনেদ্দিন জাভাদি বলেন, “উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ আজ ইস্যু করা হয়েছে।”
ইরান দিনপ্রতি তেলের উৎপাদন পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জুলাইয়ে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির সই হওয়া পরমাণু চুক্তির আওতায় শনিবার ইরানের উপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয় জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় বিদেশে জব্দ করা ইরানের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদ মুক্ত হয়েছে, দেশটির বিদেশি বিনিয়োগের দ্বার খুলেছে এবং বিশ্ব বাজারে ফের তেল রপ্তানিতে শুরু করতে পারছে দেশটি।
বিশ্ব বাজারে চাহিদা থেকে সরবরাহ বেশি থাকায় তেলের মূল্য আগে থেকেই কম ছিল। এখন বাজারে নতুন করে ইরানি তেল প্রবেশ করার মুখে সোমবার তেলের মূল্য ২০০৩ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওযার পর বিদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও তেহরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য ভিড় জমিয়েছে। বিমান থেকে শুরু করে টেলিকমের মতো খাতগুলো প্রচুর ব্যবসার সুযোগ তৈরি করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টার্কসেলের প্রধান কান তেরজিওগলু বলেছেন, “ইরান বিশাল একটি বাজার এবং আমাদের নজরে আছে। আমরা নিবিড়ভাবে ইরানের বাজার খতিয়ে দেখছি এবং এর ল্যান্ড টেলিফোন সংযোগ ও মোবাইল অপারেটরগুলোর সবার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে।”
এছাড়া জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, স্পেন ও চীনা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানের বিশাল বাজার ধরার জন্য ইতোমধ্যে বহুমুখী তৎপরতা শুরু করেছে।