দুই কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৫৮ কোটি টাকা সংগ্রহের যে পরিকল্পনা নিয়েছিল বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ডোরীন পাওয়ার, তা শুরু করতে না করতেই হোঁচট খেয়েছে।
Published : 09 Feb 2016, 08:09 PM
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী কয়েকজনের একটি রিট আবেদনে হাই কোর্টে মঙ্গলবার এই কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে।
ডরীন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড কোম্পানির চেয়ারম্যান হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর স্ত্রী পারভীন আলম।
তাদের ছেলে বর্তমান সংসদের স্বতন্ত্র সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীসহ তার অন্য দুই ভাই-বোন তানজীর আলম সিদ্দিকী ও আনজাবীন আলম সিদ্দিকী কোম্পানির পরিচালক হিসেবে রয়েছেন।
ডরীন পাওয়ারকে ১৯ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৯ টাকা বরাদ্দমূল্যে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৫৮ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কোম্পানিটি এই টাকা দুটি সহযোগী কোম্পানির পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওর কাজে ব্যয় করবে বলে জানানো হয়েছিল।
গত রোববার থেকে আইপিওর মাধ্যমে এ কোম্পানির চাঁদা গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইপিও আবেদন শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিনেই আদালতের স্থগিতাদেশ এল।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই কোম্পানির আইপিও কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিটেআবেদন করেন এস কে এনামুল কবিরসহ বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী।
তার শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেয়।
আবেদনকারীদের আইনজীবী তৌফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডোরীন পাওয়ার অনেক বেশি ঋণগ্রস্ত কোম্পানি। ঋণ পরিশোধ করার জন্য পুঁজিবাজারে আসছে এমন অভিযোগ রয়েছে। এমন কোম্পানিকে ১৯ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৯ টাকায় আইপিও ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।
“সেজন্য কোম্পানিটির আইপিও স্থগিতের জন্য হাই কোর্টে রিট করেন কয়েকজন বিনিয়োগকারী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কোর্ট ছয় মাসের জন্য আইপিও স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
একই সঙ্গে একটি রুল জারি করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং ওই কোম্পানিকে তার জবাব দেওয়ার নির্দেশ আদালত দিয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।