মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের মধ্যে কক্সবাজারের কয়েকটি সীমান্ত এলাকা থেকে ২৬ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 01 Sep 2017, 11:31 AM
টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন খান জানান, শুক্রবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে নাফ নদীতে ভাসমান অবস্থায় এই ২৬ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঝিমংখালী ও খারাংখালী এলাকা থেকে ১৮টি, শাহপরীর দ্বীপ থেকে ২, সাবরাংয়ের খুরেরমুখ থেকে ৩ ও টেকনাফের খানকার পাড়া থেকে ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশের ভাষ্য।
ওসি বলেন, “শুক্রবার উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মৃতদেহগুলোর সব কটিতেই পচন ধরেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দিন আগে নাফ নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় তারা মারা গেছেন।”
এর আগে গত বুধবার নাফ নদীর টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্ট থেকে ৪ ও বৃহস্পতিবার একই এলাকা থেকে ১৯ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে শুক্রবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফে নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ চেষ্টার সময় ৪ হাজার ৫৩৮ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “ফেরত পাঠানো অনুপ্রবেশ চেষ্টাকারী এসব রোহিঙ্গা টেকনাফে নাফ নদীর হোয়াইক্যং, লম্বাবিল, কাঞ্জরপাড়া, ঝিমংখালী, খারাংখালী ও সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপসহ বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টের শূন্যরেখা অতিক্রম করছিল। ”
গত ২৪ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনাক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল শুরু হয়।
কক্সবাজার ও বান্দরবানে নাফ নদী পেরিয়ে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়া অসহায় রোহিঙ্গাদের দিকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের গুলি করার ঘটনাও ঘটেছে।
শরীরে গুলি ও পোড়া ক্ষত নিয়ে চট্টগ্রামে মেডিকেলে ভর্তি আছেন বেশ কজন রোহিঙ্গা।
গত এক সপ্তাহে অন্তত ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বলে সীমান্তবাসীর ধারণা।