টাঙ্গাইলে এক কলেজছাত্রী নিজে অভিযোগ দেওয়ার পর তার বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
Published : 12 Jul 2017, 04:48 PM
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন মঙ্গলবার এ ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেন।
ইউএনও ইসরাত সাদমীন জানান, সোমবার তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ওই ছাত্রী একটি এসএমএস পাঠান। তাতে লেখা- ‘ম্যাম আমাকে বাঁচান, আমি লেখপড়া করতে চাই, কিন্ত ওরা আমাকে জোর করে মঙ্গলবার বিয়ে দেবে।’
এরপর বিকালে ওই ছাত্রীটি টেলিফোনে বলেন-‘দুপুরের আগে না আসলে আমার বিয়ে হয়ে যাবে। কিন্ত আমি এখনই বিয়ে বসতে চাই না। লেখাপড়া করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। তাই দয়া করে দুপুরের আগেই এসে আমাকে বিয়ে হাত থেকে রক্ষা করবেন’, বলেন ইউএনও।
এরপর বাড়ির লোকজন টের পেয়ে ছাত্রীটির মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং তাকে অন্য বাড়িতে আটকিয়ে রাখেন বলে জানান তিনি।
অনেক কষ্টে ওই বাড়িতে পৌঁছলে বাড়ির লোকজন বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। এরপর ইউএনও অনুরোধ এবং পরে আইনের ভয় দেখালে এক পর্যায়ে তারা ছাত্রীটিকে সামনে হাজির করেন এবং বিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন, বরেন ইউএনও।
ইউএনও বলেন, এ সময় ছাত্রীর মা ব্র্যাকের প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তার আর্থিক দৈন্যতার জন্য মেধাবী হওয়া সত্বেও মেয়ের অনিচ্ছায় বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বলে জানান।
এরপর সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলে অভিভাবক বিয়ে বন্ধে রাজি হন বলে জানান ইউএনও।