যমুনা, ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়ায় জামালপুর ও গাইবান্ধার ১৩৮টি স্কুলে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
Published : 10 Jul 2017, 07:51 PM
বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গাইবান্ধার প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সোমবার আরো অবনতি হওয়ায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। বন্যায় জেলার ৪৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হেমায়েত আলী শাহ বলেন, ব্রহ্মপুত্রের নদ কাছাকাছি ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ আছে।
এছাড়া উপজেলার ঝানঝাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গলনা কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কটকগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সর্বশেষ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, গত কয়েকদিনের ভাঙনে তার ইউনিয়নের জিগাবাড়ি, পশ্চিম জিগাবাড়ি, হরিচন্ডি, পাগলারচর এলাকায় নদী ১৩০টি পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে।
হুমকির মুখে পড়েছে জিগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিগাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ও জিগাবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক।
নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এখনও সরকারি কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয় নাই বলে দাবি করেছেন তিনি।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, প্রশাসনের হাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। কোথাও কোন সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরিভাবে ১২৫ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জামালপুর প্রতিনিধি,
জামালপুরের যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাহাদুরাবাদ ঘাটের পানি পরিমাপক (গেজ পাঠক) আব্দুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, বন্যায় জেলার ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ হয়েছে।
জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর জানান, বন্যা দুর্গত এলাকায় ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন মোশায়ের উল-ইসলাম জানান, বন্যার্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ৭৭টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।