গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে ৩৩ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার, তিস্তা ৩৭ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীতে ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই গতিতে পানি বাড়লে যেকোনো সময় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সেইসঙ্গে ভারত সীমান্তবর্তী সাহেবের আলগায় ব্রহ্মপুত্রের বাম তীর রক্ষা প্রকল্পের ৯০ মিটার অংশ ধসে গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ভাঙা বাঁধের ২২ কিলোমিটার উন্মুক্ত অংশ দিয়ে লোকালয়ের পানি ঢুকছে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাড়িগুলোতে পানি উঠেছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচরের বাসিন্দা আদুরী বলেন, “বাড়িতে পানি ওঠায় পোলাপানগো লইয়া আবাসনে গিয়া থাহি।”
পাশের খেয়ারচরের আফরোজা বলেন, তিনদিন আগে ঘরের ভেতর পানি উঠেছে। নিজেরা চৌকি উঁচু করে সেখানে আছেন।
প্রতিবেশী নজরুল, তারাচাঁদ ও রাজুর ঘরেও পানি উঠেছে বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ার ফলে ইউনিয়নের ১০টি চরের প্রায় এক হাজার ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, গত তিনদিন অব্যাহতভাবে পানি বাড়ায় আটটি চরে প্রায় সাড়ে ৮০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
একই অবস্থায় রয়েছে সদরের ঘোগাদহ, উলিপুরের সাহেবের আলগা, চিলমারীর অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, রৌমারীর শৌলমারী, বন্দবেড় ও রাজীবপুরের কোদালকাটিসহ কয়েকটি ইউনিয়নের আড়াই শতাধিক চরের মানুষ।
জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ ফেরদৌস খান বলেন, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি এখনওবিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আতংকিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি। বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।