টানা বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ছয় উপজেলায় বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
Published : 01 Jul 2017, 09:19 PM
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে টানা বৃষ্টির কারণে বরাক নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বরাকের শাখা নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
“নদীর পানি তীর উপচে প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। ফলে সুরমা ও কুশিয়ারা অববাহিকায় নদীর তীরের গ্রামগুলো তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে।”
ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
কুশিয়ারা নদীর তীরে অবিস্থিত ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরে পানি ওঠায় শতাধিক দোকানপাটে পানি উঠেছে। সড়কে নৌকা দিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম বলেন, নদীর পানি উপচে দোকানে প্রবেশ করেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পানি কিছু কিছু বাড়ছে। লাখ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে প্রশাসন। ফেঞ্চুগঞ্জে ও ওসামানী নগরে কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
দুর্গত এলাকায় ১২৮ মেট্রিকটন চাল ও দুই লাখ ৭৮ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে আরও ত্রাণ ও সাহায্য দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।