ঈদের দিনটিকে আনন্দময় করতে মানুষ নানা আয়োজনে নানা উদ্যোগে নিজেদের মাতিয়ে রাখে। কেউ যায় সমুদ্র সৈকতে, কেউ পার্কে, কেউ যায় স্বজনদের বাড়িতে, কেউ বা আড্ডায় মেতে থাকে।
Published : 26 Jun 2017, 06:54 PM
বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার অনেক মানুষ ঈদের দিন ঘুরতে যায় যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। প্রিয়জনদের সঙ্গে দুপুরের পর থেকে যাওয়া শুরু হয় সারিয়াকান্দির প্রেম যমুনার ঘাট নামে পরিচিত কালিতলার গ্রোয়েন বাঁধ, ধুনট উপজেলার শহরাবাড়ি ও বানিয়াজান গ্রোয়েন বাঁধে।
বাঁধে বসে কেউ গল্প করে, কেউ বাঁধে ঘোরাঘুরি করে আর কেউ বা নদীতে নৌকা ভ্রমণ করে। ছবি তোলা তো আছেই।
সোমবার ঈদের বিকালে সারিয়াকান্দির কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধে সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভিড় জমিয়েছে লোকজন। বিকালে হাজারো নারী-পুরুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
শুধু সারিয়াকান্দির লোক নয় বগুড়া শহর, গাবতলী, সোনাতলা, শিবগঞ্জসহ বগুড়ার অন্যান্য উপজেলা থেকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, নছিমন-করিমন নিয়ে আসে মানুষ।
শুধু স্থানীয়রা নন রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য কোনো জেলায় কর্মরতরাও বাড়িতে ঈদ করতে এসে বিকালটা কাটাতে আসে এখানে।
রাত ৯-১০টা পর্যন্ত সেখানে থাকে মানুষের ভিড়। শুধু ঈদের দিন নয়, ঈদের তিনদিন যেন যমুনার পাড়ে অঘোষিত মেলা বসে। লোকজনে আগমনকে কেন্দ্র করে সেখানে ভ্রাম্যমাণ নানা ধরনের খাবারের দোকান বসেছে। যমুনা দর্শন আর যমুনা পাড়ে বসে বিকালে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে কিছু খাওয়া-দাওয়া ঈদে নতুন আনন্দ বয়ে আনে।
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন জাকির হোসেন। তার স্ত্রী ধুনটের ভান্ডারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মরত। ঈদে জাকির হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছে বানিয়াজান গ্রোয়েনে।
বন্ধু-বান্ধবও আসেন জোট বেঁধে এখানে আড্ডা জমাতে।
বগুড়া শহর থেকে এসেছেন শাওম, দিয়া, দিনু।
তারা জানান, ঈদে যমুনা পাড়ে বেড়াতে আসা যেন অন্যরকম আনন্দ। আর গ্রোয়েনের আড্ডা তাদের খুব প্রিয়।
শাওম বলেন, “নৌকায় যমুনা নদীতে ঘোরা আর নদীর ওপার বৈশাখীচর, বোহাইলচর, আওলাকান্দিচর ঘুরে বেড়িয়েছি। চরের মধ্যে ঘোরাঘুরি যেন অন্যরকম আনন্দ।”