যশোরের শার্শা উপজেলার টেংরা গ্রামের আহলে হাদিস অনুসারী অন্তত একশ পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করলেও একইদিন ঈদ করছেন না। ঈদ করবেন সোমবার।
Published : 25 Jun 2017, 07:51 PM
প্রতিপক্ষের একটি অংশের হামলার ভয়ে তারা ঈদ না করলেও রোববার রোজাও রাখেননি।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি জানান জামতলা ডিএসটি হাই স্কুলের শিক্ষক আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, টেংরা গ্রামের আহলে হাদিস অনুসারী শতাধিক পরিবারের লোকজন দুবছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখছেন।কিন্তু নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হওয়ার আশঙ্কায় রোববার ঈদ জামাত করতে পারছেন না তারা।
টেংরা গ্রামের আহলে হাদিস মসজিদের ঈমাম মাওলানা আব্দুল মজিদ বলেন, “কোরআন হাদিসের নিয়ম মেনেই আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে রোজা রেখেছি। তবে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল হওয়ার আশঙ্কায় রোববার ঈদের নামাজ পড়িনি।
“তবে এই গ্রামের অন্তত ১০০টি পরিবারের কেউ আজ (রোববার) রোজা রাখেনি।”
ওই গ্রামের আহলে হাদিস অনুসারী আব্দুল মালেক বলেন, বংশপরম্পরায় আমরা রাষ্ট্রের নিয়ম মেনে সবাই একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়ে আসছি। হঠাৎ করে আহলে হাদিস মসজিদের ঈমাম মাওলানা আব্দুল মজিদ এখানকার মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব পাওয়ার পর পুরাতন সকল নিয়ম বেঙে সৌদি আরবের সঙ্গে রোজা রাখার পর তাদের সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
তবে তাদেরই অধিকাংশ লোক এর বিরোধিতা করায় তিনি পিছিয়ে গেছেন বলে জানান মালেক।
রোববার চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, ভোলা, চাঁদপুর, শেরপুর, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের অনেক লোক ঈদ করছেন।