ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
Published : 18 May 2017, 02:53 PM
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তন্ময়-উদ-দৌলাসহ কয়েকজন বুধবার সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলামকে মারধর করে তার টাকা ছিনিয়ে নেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. নাজমুল করিম জানান, এ ঘটনায় মুজাহিদের লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় তন্ময়কে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।
“পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।”
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি মুজাহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরের কলেজ রোড়ে ঐশী স্টুডিওর ভেতরে বসে ছিলেন তিনি।
“এ সময় তন্ময়সহ কয়েকজন লোক এসে আমার কাছে টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় স্টুডিওর ভেতর থেকে টেনে এনে হকিস্টিক দিয়ে মারধর করে পালিয়ে যান। কাছে থাকা কিছু টাকাও তারা ছিনিয়ে নেন।”
পরে স্থানীয়রা তাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “মুজাহিদের মাথা, ঘাড় ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য শহীদুল ইসলাম বলেন, “আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।”
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিনও এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেন এ ঘটনা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিংয়ে আলোচনায় তুলবেন বলে জানান।