হত্যাকাণ্ডের ৭২ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহত স্কুলছাত্র মাসুক ফেরদৌসের বাবা এমদাদুল হক এমদাদ মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, মাসুক হত্যার বিচারের দাবিতে মাটিডালি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সকালে ছাত্র ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
শনিবার রাতে বগুড়া শহরের মাটিডালী হাজীপাড়া এলাকায় এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মাসুক ফেরদৌসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হলেও সাফিন নামে এক কিশোরকে রেখে বাকি দুজনকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আটক সাফিন নিহত মাসুক ফেরদৌসের বন্ধু।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাহবুব হামিদ তারা (৫৫) ও তার ছোট ভাই স্থানীয় ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদের (৪৫) সঙ্গে পারিবারিক শত্রুতা রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় মাটিডালি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন নিয়েও বিরোধ চলে আসছে।
এর জেরে পরিকল্পিতভাবে শনিবার রাতে মাসুক ফেরদৌস মাসুককে বাসা থেকে প্রতিবেশী বেলাল হোসেন ফকিরের বাড়িতে তার ছেলে নাইমকে দিয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগে বলা হয়।
এরপর প্রধান আসামি মাহবুব হামিদ তারা ও অপর আসামি লালমিয়া একসঙ্গে মাসুককে জাপটে ধরলে ফয়সল পিছন থেকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মাসুককে আঘাত করে। এ আঘাতের কারণে মাসুকের মৃত্যু হয় বলে বাদীর অভিযোগ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন লাল মিয়া (৪০), মো. খায়রুল (৪২), আল আমিন হেলাল (৪০), মো. ছামছুল (৪৮), মো. তারাজুল (৪২), মো. নাইম (১৮), মো. অনিক (১৯), মো. নাহিদ (৩২), কাঞ্চন (২৮), মো. ফয়সাল (২২), মো. শাকিল (২৮), মো. সাকিব (২৪), মো. বিটুল (২৮), আল মামুন (৩০) এবং মাহবুব হামিদ তারার ছোটভাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেজবাহুল হামিদ (৪৫)।
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, মাসুকের বাবা এমদাদুল হক ইমদাদ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।