খুলনার শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় দুই আসামির সাজা হাই কোর্ট কমিয়ে দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাবা নূরুল আলম।
Published : 04 Apr 2017, 01:51 PM
নিম্ন আদালতের দেওয়া ফাঁসির আদেশ মঙ্গলবার বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে রায় দেয় হাই কোর্ট ।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাকিবের বাবা নূরুল আলম হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রায়ে আমরা সনন্তুষ্ট না। আমরা হতাশ। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব।”
রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা জেলার সমন্বয়কারী আইনজীবী মমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “মামলার পর্যবেক্ষণে নিম্ন আদালত হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনাকে নিষ্ঠুর বলে উল্লেখ করেছিল। সেক্ষত্রে উচ্চ আদালত ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়ায় আমরা সংক্ষুব্ধ।
“আমরা হতাশ। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব।”
১২ বছর বয়সী রাকিব খুলনা নগরীর টুটপাড়া কবরখানা মোড়ে শরীফের মোটর ওয়ার্কশপে কাজ করত। কাজ ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট তাকে হত্যা করেন শরীফ ও তার দূর সম্পর্কের চাচা মিন্টু।
ওই ওয়ার্কশপে আটকে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসারের মাধ্যমে মলদ্বারে বাতাস ঢোকানো হলে রাকিবের পেটের ভেতরের নাড়ি, মলদ্বার, মূত্রথলি ফেটে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়।
বর্বর এ ঘটনায় সারাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত ওই বছরই ১৮ নভেম্বর ওমর শরীফ ও মিন্টুর ফাঁসির রায় দেয়।
আসামি পক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ হাই কোর্টের রায় ঘোষণা করে।
আসামি মিন্টুর মা বিউটি বেগমকেও এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছিল। অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে খালাস দেয় খুলনা জজ আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত উভয় আসামি কারাগারে রয়েছেন।