ময়মনসিংহে বাড়ি ঘিরে তল্লাশির পর ৭ ‘জঙ্গি’ আটক

ময়মনসিংহ শহরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ সন্দেহভাজন সাতজনকে আটক করা হয়েছে; যারা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের ধারণা।

পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরে শহরের কালীবাড়ি এলাকায় সোহাগ পার্টি সেন্টারের বিপরীতে একতলা একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- নেত্রকোণার মেহনগঞ্জ উপজেলার সুরুজ মিয়ার ছেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাসির উদ্দিন (২৩), হালুয়াঘাট উপজেলার মারফত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫), একই উপজেলার আইন উদ্দিনের ছেলে আশিকুর রহমান (১৯), নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে মাসুম আহমেদ (৩০), ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ইকবাল হেসেনের ছেলে আল আমীন (২৫), রোমান মিয়া (২৫) ও শাহ আল হাসান শামীম (২৫)।

তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু উগ্র মতবাদের বই, ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম এবং ৭০ লাখ টাকার চেক জব্দ করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।

ওই বাড়ির মালিক প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল কাদির। তার ছেলে আসিফ আনোয়ারুল কাদের মুরাদ এখন বাড়ির দেখভাল করেন।

কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রুবেল ও হাসান জানান, প্রায় এক বছর আগে কয়েকজন যুবক ওই বাসা ভাড়া নেন। এলাকায় তারা বিভিন্ন কোম্পানির চাকুরে হিসেবে পরিচয় দিতেন।

“ওই যুবকদের চলাফেরা সন্দেহজনক ছিল। মাঝেমধ্যে রুমের মধ্যে তারা আজান দিত।সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগও কম ছিল,” বলেন রুবেল।

মুরাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকার জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্যই এই যুবকেরা বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল। সেখানে কোনো বিস্ফোরক রয়েছে কিনা - তা জানতে পুরো বাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে।”

এদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজারের পর ময়মনসিংহ শহরে একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলার খবরে শহরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে ওই বাড়ি থেকে সাতজনকে আটকের খবর জানায় পুলিশ।

দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ রেঞ্জেরে ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, “জঙ্গিদের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। তাদের মূল পরিকল্পনা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”