রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী মালদ্বীপের মেয়ে রাউধা আথিফের ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বাবা-মায়ের কাছে।
Published : 31 Mar 2017, 05:59 PM
রাউধার বাবা মোহাম্মাদ আথিফ ও মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আইশা শান শাকির শুক্রবার রাজশাহীর পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রাউধা ছিলেন একজন ফ্যাশন মডেল। কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
গত বুধবার ওই কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কাপড় বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার তানভীর হায়দার চৌধুরী জানান, শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাউধার লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক মুনসুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল ময়নাতদন্ত করেন।
ওই চিকিৎসক দলের সদস্য সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক পরে সাংবাদিকদের বলেন, “রাউধার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। এতেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
তবে কোনো বিষক্রিয়া ছিল কি না তা জানতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন এনামুল হক।
বুধবার রাউধার লাশ উদ্ধারের পর ঢাকায় মালদ্বীপ দূতাবাসে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে মালে থেকে বাংলাদেশে আসেন রাউধার বাবা, মা ও ভাই। বৃহস্পতিবারই তারা রাজশাহীতে পৌঁছান।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ও রাউধার বাবা। পরে রাজশাহী মেডিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
উপ-কমিশনার তানভীর জানান, মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ও পরিবারের সদস্যরা হোস্টেলে গিয়ে রাউধার কক্ষও ঘুরে দেখেন। পরে তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
গত বছর জানুয়ারিতে রাজশাহীর ওই বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়া রাউধা ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ এর মডেল হয়েছিলেন।
তার আত্মহত্যা করার মত কোনো কারণ পরিবারের জানা ছিল কি না- সে বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি তার বাবা মোহাম্মাদ আথিফ।