দুটি হাত ও একটি পা ছাড়া জন্মগ্রহণ করেছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ফজলুর রহমান।
Published : 12 Mar 2017, 11:57 AM
দিনমজুর শাহেব আলীর এ প্রতিবন্ধী ছেলে তারপরও থেমে থাকেনি। প্রবল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে বাধা অতিক্রম করে চলেছেন সামনের দিকে।
ফজলু লেখাপড়া, খাওয়া, চলাফেরাসহ কিছু কাজ করতে পারেন এক পা দিয়ে। বাকি কাজে মাসহ পরিবারের সদস্যরা সহায়তা করেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় জিপিএ ২.১৭ ও জেএসসিতে জিপিএ ৩.৭৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে স্থানীয় মিটুয়ানী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছেন।
বাড়ি থেকে স্কুলের দুরত্ব তিন কিলোমিটার। প্রতিদিন এক পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাতায়াত করেন।
প্রতিদিনের সকল প্রয়োজনীয় সব কাজে মা তাকে সহায়তা করেন বলে জানান ফজলু।
লেখাপড়া শেষ করে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করার প্রবল ইচ্ছা এই কিশোরের। দিনমজুর বাবার সামান্য সামর্থ্যে পড়াশোনা চালাতে কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে তিনি বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।
দিনমজুর শাহেব আলী বলেন, অভাব অনটনের সংসার, “প্রতিদিনের আয়ে চলে আট জনের সংসার। ফজলু লেখাপড়া ভালো করলেও টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় অনেক বই কিনে দিতে পারি না।”
ফজুলর মা সারা খাতুন বলেন, “২০০০ সালের ফজলু বিকলাঙ্গ অবস্থায় জন্ম নেয়। স্বামী-স্ত্রী কেউ লেখাপড়া জানি না।”
ছোট মেয়ে আসমা ফজলুকে স্কুলে আনা-নেওয়া ও লেখাপড়ায় সহায়তা করে। ফজলুর দুহাত ও এক পা না থাকলেও এক পা দিয়েই ভাত খাওয়া, টিউবওয়েলের পানি উত্তোলনসহ কিছু কিছু কাজ সে নিজেই করতে পারে বলে তিনি জানান।
শাহজাদপুরের যুবক মামুন বিশ্বাস ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে প্রায়ই আশপাশের এলাকার অনেক অসহায় মানুষকে সহায়তায় করেন। ফজুলর জন্যও তিনি বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, কৃত্রিম হাত-পা সংযোগ করা গেলে হয়ত দরিদ্র প্রতিবন্ধী ফজলুর রহমানের জীবনের গতি পাল্টে যেতে পারে।