বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক রোগীর ছেলেকে মারধর ও জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে ধর্মঘট করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
Published : 19 Feb 2017, 05:57 PM
রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে রোগীর ছেলে রউফ সরকারকে উদ্ধার করে বলে জানান মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই শাহ আলম।
রউফ বলেন, সিরাজগঞ্জে সদরের কোনাগাতি এলাকায় তাদের বাড়ি। হৃদরোগে আক্রান্ত তার বাবা আলাউদ্দিনকে (৬০) শনিবার রাত ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৪৭৫ নম্বর কক্ষের মেঝেতে ভর্তি করেন।
তার বাবার অ্যাজমাও আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রুমের ফ্যান বন্ধ করার চেষ্টা করেও যখন পারছিলাম না তখন নাজ নামের এক ইন্টার্নি ডাক্তারকে বলি ‘আপা ফ্যানের সুইচটা কোথায়’?
“তিনি রেগে গিয়ে বলেন, ‘আমি কি আয়া? আমি কি এই রুমে থাকি?’ এ সময় আসিফ নামে আরেক ডাক্তার এসে বলেন, ‘এই ডাক্তারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিস কেন?
“এ কথা বলে আমার শার্টের কলার চেপে ধরে মারতে মারতে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মারধর করে এবং একশ বার কান ধরে উঠবস করায়।”
রউফ বলেন, “তারপর পুলিশ উদ্ধার করলেও আমাকে পরিচালকের কক্ষে আটকে রাখা হয়। বিকাল ৩টায় আবারও মারধর করার সময় পরিচালক কক্ষ থেকে বেড়িয়ে যান।”
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তার দুই বোনকে লাঞ্ছিত করে বলেও অভিযোগ করেন রউফ।
টিএসআই শাহ আলম বলেন, “মারধরের ঘটনা জানার পর সেখানে গিয়ে রউফকে উদ্ধার করি। এ সময় পুলিশ সদস্যরাও মারধরের শিকার হয়।
“রউফ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।”
তবে ৭ দফা দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি।
রউফকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রউফ দুর্ব্যবহার করলে তাকে দমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান বলেন, “আমরা আমার কক্ষে বসে সকালের ঘটনাটি একটি সলিউশনে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্ত রোগীর স্বজন দুই নারীর আচরণের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।”
তবে তার কক্ষে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।