গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের তিনজনসহ চার নেতা ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১০ দিন পর দুইজন বাড়ি ফিরে এসেছেন।
Published : 19 Jan 2017, 02:32 PM
বুধবার গভীর রাতে ফিরে আসা দুই নেতা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারুল হাসান জিম মণ্ডল ও দামোদরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদেক।
গত ৯ জানুয়ারি মনোয়ারুল হাসান ও সাদেকুল ইসলাম সাদেক এবং পরদিন নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুল ইসলাম প্রিন্স ও দামোদরপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম শাপলা ‘নিখোঁজ’ হন।
মনোয়ারুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার গভীর রাতে কয়েকজন লোক একটি মাইক্রোবাসে করে এনে তাদের দুইজনকে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের অদূরে ফাঁকা জায়গায় ছেড়ে দেয়।
“তারা আমার মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ফেরত দিয়ে সোজা রাস্তায় চলে যেতে বলে। পেছনে ফিরে তাকাতে নিষেধ করে।”
তারা কারা, কেন তুলে নিয়েছিল সে বিষয়ে মনোয়ার কিছু বলতে চাননি। বৃহস্পতিবার সকালে কথা বলার সময় তাকে আতঙ্কিত দেখা গেছে।
তাকে ও সাদেককে আলাদা রাখা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
মনোয়ারুলের বরাত দিয়ে তার ভাতিজা পলাশ মণ্ডল বলেন, গত ৯ জানুয়ারি মনোয়ার ও সাদেক মোটরসাইকেলে করে নলডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন। লালবাজারের কাছ থেকে সাদা পোশাকে মাইক্রোবাসে আসা প্রায় ১৫ জনের মতো লোক তাদের হাতকড়া পরিয়ে ও চোখ বেঁধে নিয়ে যায়।
“প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর তারা তাদের দুইজনকে আলাদা ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। এর তিন-চার দিন পর তারা মনোয়ারুলকে গোসল করে নামাজ পড়তে বলে।
“তারপর তারা তাকে ভালো খাবার-দাবার খাইয়ে বলে, আজ তাদের শেষ করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে।”
চার নেতা ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর সাদুল্লাপুর থানায় অভিযোগ ও জিডি করেন তাদের স্বজনরা।
এছাড়া তাদের সন্ধান দাবিতে গত ৯ দিন ধরে উপজেলা শহর ও নলডাঙ্গায় মিছিল, হরতাল-অবরোধ, মানববন্ধন, থানা ঘেরাও কর্মসূচি ও সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্বজনরা।