তাদের গ্রেপ্তার করতে উচ্চ আদালতের আদেশের পর ১৩ আসামি বুধবার ঝিনাইদহের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
সেই আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঝিনাইদহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী আশরাফুজ্জামান।
এরপর ১৩ জনকে ঝিনাইদহ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন এবং আজমও রয়েছেন।
গত ১৬ অক্টোবর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার নলভাঙ্গা গ্রামের বর্গাচাষি শাহানুর বিশ্বাসকে লোহার শাবল, হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।
পরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)চিকিৎসাধীন শাহানূরের দুটি পা হাঁটুর উপর থেকে কেটে ফেলতেহয়েছে।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ উপজেলার কাস্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কামালকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
তাদের মধ্যে কামালের ভাই আজাদসহ তিন আসামিকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্য দুজন হলেন লিখন ও বোরহান। এদের মধ্যে লিখন আদালত থেকে জামিনও নিয়েছেন।
এই ঘটনাটি একটি সংবাদত্রে দেখে মঙ্গলবার হাই কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত এক আদেশে আসামিদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিচারক বলেছিলেন,“অ্যারেস্ট করবেন না... ঘুরে বেড়াবে যুবলীগ নেতা... নো।”
ওই আদেশের পরদিনই আত্মসমর্পণ করলেন ১৩ আসামি।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী বলেন, “আদালতের নির্দেশে পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড়ের কারণে বাধ্য হয়েছে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।”
গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে আজাদ কারাগারে এবং বোরহান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানান তিনি।
শাহানুরের বড় মেয়ে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, “ছোট বোন ও তাকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ‘প্রভাবশালী’মাহাবুব মেম্বারের ছেলে আজম ও তার সহযোগীরাতার বাবাকে মারধর করেছে। ”
তবে কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন,“মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার কোনো ঘটনা নয়। গ্রাম্য শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা করে পা ভেঙে দিয়েছে।”
শাহানূরের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে একটি এবং মারামারির অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।