ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে তাণ্ডবের ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি হয়েছে।
Published : 01 Nov 2016, 07:44 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মন্দির-ঘরবাড়ি ভাংচুর-লুটপাট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মন্দিরে হামলায় আসামি সহস্রাধিক
নাসিরনগরে হামলা ঠেকাতে ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিল পুলিশ
মঙ্গলবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনা তদন্তে সোমবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর একটি কমিটি গঠন করেছে।
তাছাড়া একই দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে রোববার রাতে জেলা পুলিশ একটি তদন্ত কমিটি করেছে।
ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো.শাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান ও পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিআইবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হান্নান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এএসপি (সদর দপ্তর) রাজন কুমার দাশকে সদস্য করে কমিটি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
এই কমিটিকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক দায়দায়িত্ব নিরূপন, মতামত ও সুপারিশসহ সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে প্রধান করে গঠিত জেলা পুলিশের তিনজন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ওই কমিটিকেও আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রসরাজের শাস্তি দাবিতে ‘হেফাজতে ইসলাম’ ও ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের’ ব্যানারে রোববার বিক্ষোভ-সমাবেশের পরপরই নাসিরনগরে এবং পাশের এলাকা হবিগঞ্জের মাধবপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলে পড়ে একদল যুবক।
কয়েকশ মানুষ দফায় দফায় হামলা চালিয়ে নাসিরনগরের অন্তত ১৫টি মন্দিরে ভাংচুর করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড়শ বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।