ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার সাহেবরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুল আহসান সেলিমের নির্দেশে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত গাছগুলো কাটা হয় বলে জানান সাহেবরামপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী হাবিবুর রহমান।

জেলা পরিষদের মাধ্যমে টেন্ডারে পেয়ে গাছগুলো ক্রয় করেন বলে কামরুল আহসান দাবি করলেও টেন্ডারটি তিন বছর আগের ছিল বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রশাসক।

হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার চেয়ারম্যান কামরুল ও তার লোকজন সাহেবরাপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে থাকা ২০/২৫ বছর পুরনো রেইনট্রি গাছ কাটা শুরু করে।

“উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ গাছ কাটতে বাঁধা দিলে কামরুল উল্টো হুমকি-ধামকি দেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা তার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারিনি।”

সোমবার পর্যন্ত তারা সাতটি রেইনট্রি গাছ কেটেছে, যার বাজার মূল্য চার লাখ টাকার বেশি বলে হাবিবুর জানান।

অভিযোগ অস্বীকার করে কামরুল আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলা পরিষদের টেন্ডার পেয়েই গাছগুলো কেটেছি।”

তবে টেন্ডারের বিষয়টি নাকচ করে জেলা পরিষদের প্রশাসক মিয়াজউদ্দিন খান বলেন, “২০১৩ সালে কিছু গাছ কাটার জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে কামরুলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সে সেময় তিনি গাছও কেটেও নেন।”

“কিন্তু এবার তিনি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গাছগুলো কেটেছেন। ”

সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ তদন্ত করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার জানান।