ভোলার মনপুরা এলাকায় মেঘনা নদী থেকে কয়েকজন মাঝিকে অপহরণের খবর পেয়ে অভিযানে নেমেছে কোস্টগার্ড।
Published : 18 Sep 2016, 03:30 PM
হাতিয়া কোস্টগার্ড স্টেশন ইনচার্জ লেফটেনেন্ট কমান্ডার ওমর ফারুক জানান, রোববার ভোরে ১৫ জনকে অপহরণের খবর পেয়ে মেঘনার বদনার চর এলাকায় অভিযান শুরু হয়।
নিখোঁজদের মধ্যে সুজন মাঝি, জামাল মাঝি, আলাউদ্দিন মাঝি, শাহ আলম মাঝি, লোকমান মাঝি, জাফর মাঝি, সেলিম মাঝি, ইলিয়াছ মাঝি, জাহাঙ্গীর মাঝি, শাহাবউদ্দিন মাঝি ও আব্দুল হাই মাঝির নাম জানাতে পেরেছেন তিনি।
বাকি চারজনের পরিচয় জানা যায়ানি। তাদের সবার বাড়ি মনপুরার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানান ওমর ফারুক।
“খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘনায় অভিযান শুরু করি। আমাদের কয়েকটি টিম ইতিমধ্যে মেঘনার বিভিন্ন চরে অভিযান চালাচ্ছে।”
মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাটের আড়তদার লিটন হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রতিদিনের মতো জেলারা ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময় সেখানে ওত পেতে থাকা হাতিয়ার ‘জলদস্যু বাহিনীর প্রধান আলাউদ্দিন’ ও তার লোকজন জাগলার চর থেকে ট্রলার নিয়ে এসে জেলেদের জিম্মি করে নিয়ে যায়।
আহত জেলে লোকমান বলেন, জলদস্যুরা তাদের নৌকায় উঠে মারধর করে। তারা কয়েকটি নৌকা থেকে ১৬ হালি মাছ, নগদ পাঁচশ টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন ও আলাউদ্দিন মাঝির ট্রলারটি নিয়ে যায়।
এদিকে জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে বলে মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাটের আড়তদার টিটু ভূইয়া জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, গত দুসপ্তাহ ধরে জেলেরা মেঘনায় ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু জলদস্যুদের হামলার ভয়ে জেলেরা মাছ ধরতে জেলেরা সাহস পাচ্ছে না ।
প্রতিনিয়তই জেলেরা জলদস্যুদের হামলার শিকার হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
মনপুরা থানার ওসি মো. শাহীন খান বলেন, “অপহরণের বিষয়ে খবর পেয়েছি। তবে এর মধ্যে কতজন মাঝি রয়েছেন তার সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যাননি।”