চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র সজীব হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য রাকিবুল ইসলাম রাকিব র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
Published : 18 Sep 2016, 09:27 AM
শনিবার রাত ২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মনির আহমেদের ভাষ্য।
নিহত রাকিবুল ইসলাম রাকিব সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। তিনি আলোকদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা ভি জে স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজীবকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে যে মামলা করা হয়েছিল, তাতে রাকিব ছিলেন প্রধান আসামি।
মেজর মনির বলেন, গোবিন্দহুদা গ্রামের মাঠে ‘একদল দুর্বৃত্তের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে’ র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়।
“দুর্বৃত্তরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
পরে এলাকাবাসী নিহত ব্যক্তিকে ‘রাকিব মেম্বর’ হিসেবে শনাক্ত করে বলে এই র্যাব কর্মকর্তার ভাষ্য।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ওদুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দামুড়হুদা ব্রিজপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে সজীবকে গত ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরের কৃষিমেলা থেকে অপহরণ করার পর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
এক মাস পর গত ৩১ অগাস্ট চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় রাকিব মেম্বরের একটি কারখানার সেপটিক ট্যাংক থেকে সজীবের গলিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
সজীবের মামা আবদুল হালিম ওই দিনই রাকিবসহ ছয়জনকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সজীবের খুনিদের বিচারের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালিত হয়।