ঢাকার কল্যাণপুরে অভিযানে ‘স্টর্ম টোয়েন্টি সিক্সে’ আহত অবস্থায় আটক মো. রাকিবুল হাসান রিগান আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন বলে জানিয়েছেন তার মা।
Published : 26 Jul 2016, 09:35 PM
তার মা রোকেয়া বেগম মঙ্গলবার জানান, বন্ধু মাসুদ রানা ও ময়ামেনুল হাসান শিহাবের সঙ্গে নিখোঁজ হন হাসান।
মাসুদ রানার বাড়ি আদমদীঘি উপজেলার কেশলতা গ্রামে আর শিহাবের দুপচাঁচিয়া উপজেলার সদনকুড়ী গ্রামে।
তিনি বলেন, শিহাব, রিগান ও মাসুদ রানা বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজে পড়ালেখা করত। একই প্রতিষ্ঠানে পড়া লেখা করায় তারা বন্ধু ছিল।
নিখোঁজ হওয়ার ছয় মাস আগে শিহাব তার বোন ও মাকে নিয়ে দুপচাঁচিয়ায় চলে যায় বলে জানান রোকেয়া।
তিনি বলেন, “ওই তিনজন নিখোঁজ হওয়ার পর মাসুদ রানার পরিবারের আমার বাসায় আসলে তিনিও রিগানের খোঁজে দুপচাঁচিয়ায় শিহাবের বোনের বাসায় যান। কিন্তু তিনজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি
“শিহাব বাড়ি ফিরেছে গত রোজার আগে এ খবর পেয়ে তার বোন তানিয়ার শ্বশুরবাড়ি দুপচাঁচিয়ার সদরে গেলে তারা শিহাবের সঙ্গে দেখা করায় না। কয়েক দিন পরে জানতে পারি তাকে বোনের বাড়ি থেকে জঙ্গি হিসেবে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।”
মাসুদ রানাও ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে শুনেছি, বলেন রোকেয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বগুড়ার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর ঢাকায় এসআই ইব্রাহীম হত্যা হওয়ার পর মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঈদের আগে জঙ্গি শিহাবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিহাব জঙ্গির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলেও জানান তিনি।