রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 24 Apr 2016, 11:55 AM
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন।
রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শনিবার রাতে নগরীতে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি আমরা।”
তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় বা তার কাছ থেকে কোনো তথ্য মিলেছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানাননি এ পুলিশ কর্মকর্তা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষককে।
মোটর সাইকেলে আসা দুই যুবক তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে পুলিশ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে শনিবারই খবর দেয় জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী এক ওয়েবসাইট। পুলিশ কমিশনার নিজেও জঙ্গি গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতার সন্দেহের কথা বলেছেন।
অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত অধ্যাপকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ।
সহকর্মী ও ছাত্ররা বলেছেন, রেজাউল করিমকে তারা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা একজন শান্তিপ্রিয় শিক্ষক হিসেবেই চিনতেন।
‘কোমলগান্ধার’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন রেজাউল। ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
‘সুন্দরম’ এর সভাপতি হাসান রাজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যার খুব ভালো সেতার বাজাতেন। তিনি শালবাগানে একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন।”
এ মামলার সার্বিক তদারকির জন্য গঠিত ‘মনিটরিং টিমের’ সদস্যরা রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন।
উপাচার্যের বাসভবনে ওই বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন পুলিশ কমিশনার শাসুদ্দিন এবং মনিটরিং টিমের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার তমিজউদ্দিন সরদার।
তমিজউদ্দিন বলেন, “পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার তদন্ত করছে। আশা করছি, শিগগিরই খুনিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।”