গাজীপুরে শুক্রবার রাতে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায়ও মেয়র এমএ মান্নানকে আসামি করা হয়েছে। নাশকতার মামলায় জামিনে থাকা এই বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে এটি নাশকতার অভিযোগে করা ২২ নম্বর মামলা।
Published : 16 Apr 2016, 08:42 PM
শনিবার বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত-২-এর বিচারক মো. ইকবাল মাসুদ মেয়রকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আদালত পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান।
পরিদর্শক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গাজীপুর সিটি কপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস পোড়ানোর ঘটনায় জয়দেবপুর থানার এআই মো. আহাদুল ইসলাম ওই রাতেই, সাড়ে ১১টার দিকে, মামলা করেন।
“মামলায় মেয়র এমএ মান্নানকে প্রধান আসামি, আরও ৩৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১১ কাউন্সিলরও আছেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মান্নান এর আগে নাশকতার মোট ১৯টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এক বছরের বেশি কারাগারে থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাসের জামিন নিয়ে গত ২ মার্চ মুক্তি পান।
শুক্রবার রাতে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা বলেন, “ওই ১৯ মামলার বাইরে নাশকতার ‘পেন্ডিং’ দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাছাড়া বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক দেখানো হয়। পরে তাকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়।”
শুক্রবার বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, মেয়র মান্নান শুক্রবার তার নিজ বাসভবন সালনায় নেতাকর্মীদের নিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন স্থানে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একত্রিত হন এবং কেপি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা মেয়র মান্নানের নির্দেশে বাসে আগুন দিয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই মেয়রসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন মেয়রের ভাই বিএনপি নেতা আব্দুল কাদির, কাউলতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ডিলার, রফিজ উদ্দিন, সমর্থক শাহিন আলম, হাবিবুল্লাহ, এসএম ওয়াসিম, সব্দুল আলী, মো. আলম ও মিজানুর রহমান মিজান।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে মেয়রসহ আসামিদের কারাগারে আনা হয়।