সিরাজগঞ্জের ৬টি পৌরসভায় মেয়র পদে বিভিন্ন দলের ১৫ জন মনোনয়নের ফরম কিনেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
Published : 29 Nov 2015, 07:39 PM
রোববার বিকেলে কাজিপুর উপজেলা রিটার্নিং অফিসার শাফিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ পর্যন্ত চার জন প্রার্থী মেয়র পদের ফরম সংগ্রহ করেছেন। এরা হলেন আওয়ামী লগের হাজী নিজাম উদ্দিন, আব্দুল হান্নান ও মাসুদ রায়হান। এছাড়া বিএনপি নেতা বর্তমান মেয়র আব্দুস সালাম ফরম নিয়েছেন।
৯টি ওয়ার্ডের বিপরীতে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭ জন ও কাউন্সিলর পদে ২২ জন পত্র উত্তোলন করেছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর নির্বাচন অফিসার জয়নুল আবেদিন জানান, মেয়র পদে পাঁচ জন প্রার্থী পত্র নিযেছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের কে এম হোসেন আলী হাসান, সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, হাজী ইসহাক আলী। এছাড়া সদ্য সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র ও বিএনপি নেতা মোকাদ্দেস আলী ও জাপার মির্জা ফারুক আহমেদ।
১৫টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৫ জন এবং কাউন্সিলর পদে ৮০ জন প্রার্থী পত্র উত্তোলন করেছেন।
বেলকুচি উপজেলা রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, রোববার বিকেল পর্যন্ত মেয়র পদে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।
তবে ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর পদের জন্য ১৭জন প্রার্থী পত্র কিনেছেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা রিটার্নিং অফিসার সন্দীপ কুমার সরকার জানান, বিএনপি সমর্থিত বর্তমান মেয়র এম বেলাল হোসেন ছাড়া কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর পদের জন্য ১৩ জন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা ভূমি কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান জানান, মেয়র পদে ৪ জন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের অধ্যাপক হানিফ সরকার, আব্দুল্লাহ পাঠান, মুক্তিযোদ্ধা আফসারুল আলম খোকন ও বিএনপির নুর সাঈদ সরকার।
শাহজাদপুর পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত বর্তমান মেয়র নজরুল ইসলাম ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রহিম জানিয়েছেন।
২৫ নভেম্বর থেকে ৬টি পৌরসভায় মনোনয়নের জন্য ফরম বিক্রি শুরু হয়।
এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া জানান, জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ভোট ও মতামতের ভিত্তিতে ৬টি পৌরসভার জন্য প্রার্থী নির্ধারণ করে তা রোববার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন।
তিনি প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেননি।
জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব হারুন-অর-রশিদ খান হাসান জানান, জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও শীর্ষ নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।