অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার ১৫ বছর পর এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বগুড়ার একটি আদালত।
Published : 25 Nov 2015, 12:48 PM
একই সঙ্গে তার এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম সাইফুল ইসলাম বুধবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডিত বাপ্পী মিয়া বগুড়া সদরের মানিকচক হটিলাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বিয়ের এক বছর পর ২০০০ সালের ১৪ জুন রাতে বাপ্পী মিয়া যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কোহিনুরকে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবায় লাশ ফেলে রাখে।
পরদিন সকালে কোহিনুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আব্দুল বারী জানান, ওই ঘটনার পরদিন (১৫ জুন) কোহিনুরের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় স্বামী বাপ্পী মিয়া, ভাসুর পাপ্পু মিয়া, ভাবি রানী ও মা আরেফাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবর রহমান ওই বছরের ১০ নভেম্বর এ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন বলে জানান তিনি।
অপর তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয় বলে জানান এপিপি আব্দুল বারী।