ডেনমার্কে ‘শরণার্থী’ তালিকায় বাংলাদেশ, বিপাকে প্রবাসীরা

বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘শরণার্থী’ দেশগুলোর তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে অভিবাসন গেজেট প্রকাশ করেছে ডেনমার্ক ।

কোপেনহেগেনের অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ অক্রামের সঙ্গে লেখক কোপেনহেগেনের অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ অক্রামের সঙ্গে লেখক

১ মার্চ প্রকাশিত ইউরোপের এই দেশটির নতুন অভিবাসন গেজেটে বাংলাদেশকে গ্রুপ-৪ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গ্রুপ-৩ এর সদস্য ছিলো।

ডেনমার্কের অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বের অন্য ১২টি শরণার্থী দেশগুলোর একটি। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদন ও ডেনমার্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য ভিসা আবেদন ও ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা তৈরি করবে বলে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

কোপেনহেগেনের অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ অক্রাম্প বলেন, “ডেনিশ অভিবাসন চোথায় বাংলাদেশ এখন আফগানিস্থান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ার মতো শরণার্থী প্রেরণকারি দেশগুলোর একটি। ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই দেশগুলোর জন্য কঠোর নীতি অনুসরণ করা হয়। অথচ সারা বিশ্বে নানা উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”

বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন ডেনিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে জটিলতার শিকার হবেন বলে জানান এই আইনজীবী। এই সিদ্ধান্তের পিছনে ডেনিশ সরকারের কারণগুলোও যথাযথভাবে উল্লেখ নয় বলে মতামত দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায় বাংলাদেশের প্রতিবেশি অন্যান্য দেশের নাগরিকরা যেমন মিয়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশের পরিচয়পত্র বহন করে ডেনমার্কে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চাওয়ার ঘটনাগুলো বিভিন্ন ডেনিশ তদন্ত সংস্থার গবেষণায় বেশ ফলাও করে উঠে এসেছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে।”

ডেনমার্কে কর্মরত ডেনিশ বাংলাদেশি আইনি পরামর্শক মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশি অভিবাসীরা ডেনমার্কের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ডেনমার্কের বাণিজ্য সম্পর্কও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই গেজেটের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অসুবিধার মুখোমুখি হবেন।”

বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতায় এই অবস্থার ‘সুরাহা’ হতে পারে বলে আশা করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ও কমিউনিটি নেতারা।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!